Mulayam Singh Yadav, Veteran Politician, Dies At 82

Mulayam Singh Yadav: ৮২ বছর বয়সে প্রয়াত জাতীয় রাজনীতির দ্বিতীয় ‘নেতাজি’

প্রয়াত উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিং যাদব (Mulayam Singh Yadav)। যিনি সকলের কাছে ‘নেতাজি’ নামেই অধিক জনপ্রিয় ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল  ৮২ বছর। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ গুরুগ্রামের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। একাধিক শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে এই হাসপাতালেই তিনি ভরতি ছিলেন ২২ সেপ্টেম্বর থেকে। সোমবার সমস্ত লড়াই শেষ হল। জাতীয় রাজনীতির এত বড় এক ব্যক্তিত্বের প্রয়াণে শোকের ছায়া সংশ্লিষ্ট মহলে।

সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম বিগত দু’বছর থেকেই অসুস্থ। ২ অক্টোবর, রবিবার অসুস্থতা বাড়ায় তাঁকে গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিস। পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতেও রাখা হয়। প্রাথমিক ভাবে এর পর মুলায়মের শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও এই রবিবার আচমকাই অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রাতে অক্সিজেনের স্তর অনেকটাই নেমে গিয়েছিল সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমোর। অক্সিজেনের স্তর বাড়িয়ে প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় মুলায়মের শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল করা গেলেও শেষরক্ষা করা যায়নি।

আরও পড়ুন: অঙ্কিতা ছিল বিড়ালের সামনে রাখা কাঁচা দুধ, আরএসএস নেতার পোস্টে এফআইআর

সোমবার সকালে মুলায়ম-পুত্র এবং সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বাবার মৃত্যুর খবর জানান সংবাদ মাধ্যমকে।  উল্লেখ্য, গত দেড় মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মুলায়ম সিং যাদব। তিনি খাবারও খেতে পারছিলেন না। এর জেরে নলির মাধ্যমে তাঁকে তরল খাবার দেওয়া হচ্ছিল।

১৯৩৯ সালের নভেম্বরে উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ায় জন্ম হয় মুলায়ম সিং যাদবের।  পড়াশোনার মধ্যে দিয়েই এগোতে চেয়েছিলেন তিনি। শুধু রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়েই তাঁর তিন-তিনটি ডিগ্রি রয়েছে। তারপর রাজনীতিতে পদার্পণ এবং তিনবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া – ১৯৮৯, ১৯৯৩ ও ২০০৩ সালে। তার পরবর্তী সময়ে লোকসভা ভোটে  মইনপুরী কেন্দ্র থেকে লড়াই করে সাংসদ হন। অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীও ছিলেন।  শেষ লোকসভা ভোট অর্থাৎ ২০১৯ সালেও মইনপুরী থেকে সাংসদ হন মুলায়ম সিং যাদব।

আরও পড়ুন: Bihar: ১০ জনকে মেরে অবশেষে মরল মানুষখেকো বাঘ, লোম ছিঁড়ে উল্লাসে মাতল গ্রামবাসীরা!