বিয়ের জন্য প্রেমিককে চাপ দেওয়ায় খুন হতে হল তরুণীকে। হিংস্র লিভ-ইন পার্টনার ৩৫ টুকরো করে মৃতদেহের। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, ১৮ দিন ধরে ওই দেহ শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেয় অভিযুক্ত। নৃশংস হত্যার ঘটনা প্রকাশ্য আসায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাজধানী দিল্লিতে (Delhi)। অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে ২৬ বছর বয়সী শ্রদ্ধা মুম্বইয়ে একটি বহুজাতিক সংস্থার কল সেন্টারে চাকরি করতেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে আফতাব আমিন পুনওয়ালা নামের এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর।
আলাপের পর একে অন্যের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন ওই যুগল। শ্রদ্ধার পরিবারের আফতাবের সঙ্গে তাঁর এই সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি না হওয়ায় দু’জন পালিয়ে এসে দিল্লিতে থাকতে শুরু করেন। দিল্লির মেহরলিতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে সেখানেই থাকতে শুরু করে ওই যুগল।
আরও পড়ুন: Ration Card: এই মাসে পাবেন বিনামূল্যে ১৫০ কেজি চাল, জেনে নিন কোথায়
শুরুতে কিছুদিন স্বপ্নের ঘোরে কাটলেও সম্পর্কের অবনতি হয় দ্রুত। শুরু হয় ঝগড়াঝাঁটি। আফতাবের অভিযোগ, লিভ-ইন করার কিছুদিন পর থেকে প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শ্রদ্ধা। যদিও আফতাব ‘লিভ-ইন’-এর পক্ষপাতী ছিলেন। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে তুমুল ঝামেলা চলছিল বেশ কিছু দিন ধরে। এমনকী শ্রদ্ধা নিজের বাড়ি ফিরে যেতে চান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মে মাসের ১৮ তারিখ দু’জনের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া হওয়ার পরই শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। পুলিশ জানিয়েছে টুকরো টুকরো করা শ্রদ্ধা দেহ সংরক্ষণ করে রাখার জন্য একটি নতুন ফ্রিজও কিনেছিল আফতাব। খুনের পর ১৮ দিন ধরে সঙ্গীর মৃতদেহের বিভিন্ন অংশগুলি মেহরলি জঙ্গলের একাধিক জায়গায় পুঁতে রাখেন।
বেশ কয়েকদিন ধরে ফোনে শ্রদ্ধার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না তাঁর পরিবার। এমনকী তাঁকে ফোন করা হলেও তাঁর ফোন বেজে যাচ্ছিল। শেষমেশ বাধ্য হয়ে ৮ নভেম্বর শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন মেয়ের খোঁজে দিল্লি আসেন। ফ্ল্যাটে গিয়ে তিনি দেখে দরজায় তালা লাগানো। তখনও থানায় অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন শ্রদ্ধার বাবা। শ্রদ্ধার বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে আফতাব পুনাওয়ালাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুনের মামলা রুজু করে মৃতদের অবশিষ্ট অংশ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Dog: পোষা কুকুর কামড়ালে মালিককে দিতে হবে ১০ হাজার টাকা !