মেলাকে মিলনক্ষেত্র বলে ডাকতেন যারা, ধীরে ধীরে তাঁদের কাছেও অচেনা হয়ে যাচ্ছে ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের গল্প। এতকাল ধরে মেলাতে কে কোন পসরা নিয়ে বসছে, কার কী জাত, কার কী ধর্ম (Muslim Vendors Banned At Fair) মাথাতেও আসেনি কারও। কিন্তু এখন অন্য সময়। এখন বিভেদ বিকোয় বাজারে। আর তারই প্রভাব এসে পড়ল মেলার উপর।
উল্লেখ্য, গোটা কর্ণাটকে পোস্টারিং হয়েছে, মুসলিমদের হিন্দু মন্দিরের মেলায় প্রবেশাধিকার নেই। এই বিষয়ে স্ট্রিট ভেন্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ আরিফ বলেন, “আমরা মন্দির কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, এবার কেবল হিন্দুদের মেলায় স্টল খুলতে দেওয়া হবে। আমাদের মেনে নিতে হবে। ওরা চাপের মুখে পড়েই এই কাজ করেছে।” কিন্তু কাদের চাপে এমন সিদ্ধান্ত মন্দির কমিটির?
মন্দির কমিটির এক সদস্য সরাসরি জানিয়েছেন, তাঁরা হিন্দুত্ববাদীদের চাপে এই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। হোসা মারগুড়ি মন্দির কমিটির অন্যতম সদস্য প্রশান্ত শেট্টি বলেন, “হ্যাঁ, আমরা হিন্দুত্ববাদীদের চাপে আছি… এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার পরেই মুসলিমদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”
হিন্দু স্টল মালিকরা বলছেন, মুসলমানদের দোকান (Muslim Vendors Banned At Fair) দিতে না দেওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ। “আমরা সবাই একসঙ্গে ব্যবসা করেছি। কিন্তু তাঁরা প্রতিবাদ করায় তাঁদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে,” বলেন দোকানি রাম সাইত। পুজোর সামগ্রী বিক্রি করেন দেবরাজ। তিনি বলেন, “দু’টি সম্প্রদায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে বলে আমার খারাপ লাগছে। আমরা হিন্দু বা মুসলিম যাই হই, আমরা ভারতীয় নাগরিক। একজন হিন্দু বা মুসলমানের এটা আগে বোঝা উচিত।”
কর্ণাটক বিধানসভার বিরোধী দলের উপনেতা এবং কংগ্রেস নেতা ইউ টি খাদার জানিয়েছেন, মুসলমানদের শুধু মন্দিরের মেলায় নয়, রাস্তাতেও স্টল বসানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।