mustard oil price falls due to weak domestic demand

Cooking Oil Price: মধ্যবিত্তের জন্য বড় স্বস্তি! দাম কমল সরষের তেলের

এবার কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে পারেন সাধারণ মানুষ। কারণ দাম কমল সরষের তেলের। দেশীয় বাজারে গরমের কারণে চাহিদা কম থাকায় দাম কমেছে সরষের তেলের। সূত্রের দাবি, শুক্রবার শিকাগো এক্সচেঞ্জের ৩ শতাংশ সয়াবিন তেলের দামে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আবার অন্যদিকে, গরমের কারণে সরষের তেলের দাম কমলেও চিনা বাদামের পুরনো দামই বজায় আছে।

সূত্রের তরফে দাবি করা হচ্ছে, শিকাগো এক্সচেঞ্জের বৃদ্ধির প্রভাব সোমবারও পড়তে চলেছে মালয়েশিয়া এক্সচেঞ্জেও। এই কারণে বিভিন্ন মহল মনে করছে, কেন্দ্রের দেশীয় তেলের বেশি পরিমাণে উৎপাদনে নজর দেওয়া উচিত। এর সবথেকে বড় কারণ হল, আমদানি করা তেলের তুলনায় দেশে উৎপাদিত তেলের মূল্য ১০ থেকে ১২ টাকা কম হয়। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই পাইকারি বাজারে দাম কমলে তার সরাসরি প্রভাব খুচরো বাজারেও পড়বে, যা স্বস্তি দেবে সাধারণ মানুষকে।

আরও পড়ুন: চানাচুরের প্যাকেটে উর্দুতে লেখা নির্দেশিকা, ইচ্ছাকৃত ভাবে বিতর্ক তৈরি করল ডানপন্থী চ্যানেল

এদিকে, পাম তেলের দামে প্রভাব ফেলেছে বিদেশি বাজারের বৃদ্ধি। শিকাগো এক্সচেঞ্জ চাঙ্গা হওয়ার কারণে সয়াবিন অয়েলের দাম প্রতি টনে ৪৬ ডলার বেড়েছে। এর ফলে, প্রতি কুইন্টালে দাম বেড়েছে ৩৫০ টাকা। তবে, পাম তেলের চাহিদা কম থাকায় অভ্যন্তরীণ বাজারে এই তেলের দাম বেড়েছে কুইন্টাল প্রতি মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। শনিবার তেল ও তৈলবীজের দাম কেমন ছিল দেখে নেওয়া যাক। সরষে তৈলবীজের দাম– ৭,৪৫০-৭,৫০০ প্রতি কুইন্টাল। বাদাম তৈলবীজের দাম– ৬,৭২৫-৬,৮২০ প্রতি কুইন্টাল। সয়া মিল ডেলিভারি (ইন্দোর)– ১৫,৭০০ প্রতি কুইন্টাল। সয়াবিন বীজ- প্রতি কুইন্টাল ৭,৭৫০-৭,৮০০ টাকা। সয়া- প্রতি কুইন্টাল ৭,৪৫০-৭,৫৫০ টাকা।

উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে রান্নার তেলের দাম অনেক বেশি। লিটার প্রতি সরষের তেলের দাম রয়েছে প্রায় ২০০ টাকা। এমনিতেই পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রমশ বেড়েই হয়ে চলেছে। কাজেই এই পরিস্থিতিতে রান্নার তেলের দাম কমলে, কিছুটা স্বস্তি ফিরবে সাধারণ মানুষের হেঁশেলে।

আরও পড়ুন: Price Hike: আরও দাম বাড়তে চলেছে দুধ, সবজির মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের