সোশাল মিডিয়ার প্রোফাইল ছবি বদলালেন নরেন্দ্র মোদী। কেবল তাঁর ব্যক্তিগত প্রোফাইলই নয়, বদলে গিয়েছে পিএমওর অ্যাকাউন্টের ছবিও। মোদীর আগের প্রোফাইল ছবিতে তিনি নস্যি রঙের জহরকোট পরেছিলেন। নতুন ছবিতে তাঁর পরনে হলুদ জহরকোট। আবার পিএমওর অ্যাকাউন্টের যে ছবি, সেখানে তাঁর পরনে সাদা পোশাক। কভার ফটো হিসেবে রয়েছে তাঁর সংবিধানকে ঝুঁকে প্রণাম করার ছবিটি।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এক্স হ্যান্ডেলের প্রোফাইল ছবিতে রয়েছে তৃতীয় টার্মে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর দফতরে প্রথম দিনের ছবি। আর কভার ইমেজে আলোকিত করছে তাঁর তৃতীয় টার্মের শপথগ্রহণ পর্বের অনুষ্ঠানের ছবি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ গোটা মন্ত্রিসভার ছবি রয়েছে কভার ইমেজে। মোদীর (PM Modi) প্রোফাইল ছবি বদলের পর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, এর পিছনে নাকি রয়েছে জ্যোতিষের নিদান। সাদা বা হলুদ রং তাঁর জন্য শুভ বলেই নাকি ওই রঙের পোশাক পরিহিত ছবি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদী। প্রসঙ্গত, মোদী নিজের ব্যক্তিগত প্রোফাইলের ছবি মাঝেমধ্যে বদলালেও পিএমও অ্যাকাউন্টের ছবি বদলাল দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে।
আর প্রধানমন্ত্রীর দফতরের যে এক্স হ্যান্ডেল রয়েছে, সেখানেও নতুন প্রোফাইল ছবি সেট করা হয়েছে। নতুন কভার ইমেজও এসেছে। দেশের সংবিধানে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যে সংবিধানকে লাগাতার পাশ কাটিয়ে একের পর এক আইন পাশ করিয়েছেন গত ১০ বছরে, সেই সংবিধানের কাছে মাথানত করাটা ফটো শুটের কারণেই বলে মনে করছেন নিন্দুকেরা।
বিরোধীদের অভিযোগ, যে সংবিধানে নরেন্দ্র মোদী মাথা ঠেকাচ্ছেন, গত দশ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদী সেই সংবিধানের উপরেই হামলা চালিয়েছেন। এ বার চারশোর বেশি আসনে জিতে এলে এই সংবিধানই বদলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদী ‘চারশো পার’-এর লক্ষ্য স্থির করার পরেই একাধিক বিজেপি নেতা দাবি করেছিলেন, সংবিধানে বদল করার জন্যই লোকসভায় চারশো আসনে জেতা দরকার। তার খেসারত ভোটে দিতে হয়েছে। বিজেপি ফের ভোটে জিতে এলে সংবিধান বদলে দিতে পারে ভেবে বি আর অম্বেডকরের অনুগামী দলিতরা বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। ফলে বিজেপির আসন কমেছে।সেই ধাক্কা খেয়েই কি সেই কারণেই কি সংবিধানে মাথা ঠেকালেন মোদী?