দুদিনের রাশিয়া সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ, মঙ্গলবার তাঁর অস্ট্রিয়া যাওয়ার কথা। তার আগে রাশিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে মোদিকে। তাঁকে অর্ডার অফ সেন্ট অ্যান্ড্রু দ্য অ্যাপোস্ল প্রদান করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারত-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার জন্য মোদীর হাতে এই সম্মাননা তুলে দিলেন পুতিন।
ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এই পদক্ষেপ নয়াদিল্লি-মস্কো মৈত্রীকে নতুন মাত্রা দিল বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। পুতিনের হাত থেকে সম্মান গ্রহণের পর মোদী বলেন, ‘‘১৪০ কোটি ভারতবাসীর জন্য এই সম্মান দুই দেশের মধ্যেকার শতাব্দীপ্রাচীন বন্ধুত্বের প্রতিফলন।’’ গত ২৫ বছরের পুতিন জমানায় ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
দুবছর পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও থামেনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। হামলা পালটা হামলা, মৃত্যুমিছিল সব কিছুই অব্যাহত। এই আবহেই সোমবার মস্কোতে পা রেখেছেন মোদি। বিমানবন্দরে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয় তাঁকে। পুতিনের সঙ্গে মোদির দেখা হওয়া মাত্রই, দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরেন। এর পর হাসিমুখে করমর্দন করেই দুজনে চলে যান নৈশভোজে। রয়টার্স সূত্রে খবর, এই নৈশভোজের টেবিলেই উঠে আসে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও। রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষ নিয়ে পুতিনকে মোদী বলেন, “ভারত রাষ্ট্রসংঘের সনদকে সম্মান করে। পারস্পরিক ঐক্য এবং সার্বভৌমত্বকে সম্মান করায় বিশ্বাস রাখি আমরা। সেই ভাবনা থেকেই আমি মনে করি, যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। রণক্ষেত্রে কখনও এর সমাধানসূত্র পাওয়া যাবে না। বৈঠক ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই শান্তির পথ খুঁজে বের করা সম্ভব।”
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার ঐতিহাসিক এবং ঐতিহ্যবাহী সম্মাননা ‘অর্ডার অব সেন্ট অ্যান্ড্রু দ্য অ্যাপোস্ল’। জ়ার জমানায় সেন্ট অ্যান্ড্রুর সম্মানে ১৬৯৮ সালে এই সম্মান চালু হয়েছিল। রাশিয়ার ঐতিহ্য, গৌরবকে তুলে ধরতে বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, কলা-সহ নানা বিভাগে ব্যতিক্রমী ভূমিকার জন্য মূলত এই সম্মান দেওয়া হয়। পাশাপাশি, রাশিয়ায় স্বার্থে বিদেশি কোনও ব্যক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্যও এই সম্মাননা দেওয়া হয়। মোদী এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘অর্ডার অব জায়েদ’ পেয়েছেন।