জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলিও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে দেশপ্রেমের চেতনা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেই জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করা হল বলে সরকারি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে।জম্মু-কাশ্মীরের স্কুলে ক্লাস শুরুর আগে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করল স্থানীয় প্রশাসন। ২০১৯ থেকে কেন্দ্র শাসিত ওই এলাকায় রাজ্যপালের শাসন চলছে। রাজ্যের শিক্ষা সচিব রাজ্যপালের নির্দেশ হিসাবে সব স্কুলকে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।
বুধবার এক বিবৃতিতে স্কুলগুলিকে মোট ১৬ দফা নির্দেশিকা দিয়েছে কাশ্মীর (Kashmir) প্রশাসন। যার মধ্যে প্রধান হল, জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে মর্নিং অ্যাসেম্বলি শুরু করা। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দিন শুরু করা এবং পড়ুয়াদের মধ্যে একতা ও শৃঙ্খলাবোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে স্কুল ব্যবস্থায় মর্নিং অ্যাসেম্বলির মতো একটি রীতির গুরুত্ব অপরিসীম।”
২০১৯-এর ৫ অগাস্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার ৩৭০ নন্বর ধারা বাতিল হওয়ার আগে স্কুলগুলিতে রাজ্যের নিজস্ব সঙ্গীত গাওয়া এবং পতাকা উত্তোলন করা হত। ৩৭০ বিলোপের পর রাজ্যকে দু-ভাগ করে লাদাখ এবং জন্মু-কাশ্মীর নামে দুটি কেন্দ্র শাসিত রাজ্য গঠন করা হয়। দু-জায়গাতেই চলতি বছরে বিধানসভা ভোট করার ভাবনা আছে নির্বাচন কমিশন এবং ভারত সরকারের।
এমন নয় যে জম্মু-কাশ্মীরের স্কুলে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না। প্রশাসনের নজরে এসেছে অনেক স্কুল এই ব্যাপারে যথেষ্ট উদ্যোগী নয়। সম্ভবত সেকারণেই স্কুলগুলিকে আরও একবার নিজেদের কর্তব্য মনে করিয়ে দিল প্রশাসন।বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকেই কাশ্মীরের প্রশাসন কেন্দ্রের হাতে। মোদি সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে এই মুহূর্তে কাশ্মীর চালাচ্ছেন উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা (Manoj Sinha)।