হিজাব (Hijab) বিতর্কে সরগরম হয়ে উঠেছে কর্ণাটক (Karnataka)। অনেক দিন ধরেই এই বিতর্ক চলছিল। কিন্তু তা নতুন মাত্রা পেল শনিবার। সেরাজ্যের BJP সরকার জানিয়ে দিয়েছে, যে সব পোশাক সমতা , অখণ্ডতা ও আইন-শৃঙ্খলার পরিপন্থী। তা পরা যাবে না। স্বাভাবিক ভাবেই এই নির্দেশ ঘিরে নতুন করে চড়েছে বিতর্কের পারদ। প্রশ্ন উঠছে, কোনও রাজ্যের প্রশাসন এমন নির্দেশ কি দিতে পারে? এপ্রসঙ্গে কর্ণাটক সরকারের দাবি, সংবিধানে যে রাজনৈতিক স্বাধীনতার অধিকার দেওয়া হয়েছে দেশের সব নাগরিককে, এই নির্দেশে তা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে না।
শিক্ষাঙ্গনে হিজাব পরে আসা নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কে রাজনৈতিক রং লেগেছে ইতিমধ্যেই। আগেই এ প্রসঙ্গে শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন কর্নাটকের বিরোধী নেতা সিদ্দারামাইয়া। বাগ্দেবীর আরাধনার দিনে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। টুইট করে রাহুল বলেন, ‘শিক্ষার পথে হিজাবকে বাধা হিসাবে তুলে ধরে আমরা মেয়েদের ভবিষ্যৎ ছিনিয়ে নিচ্ছি। মা সরস্বতী কিন্তু সকলকেই বিদ্যা দান করেন। তিনি বিভেদ করেন না।’
আরও পড়ুন: Earthquake: আফগানিস্তানে সীমান্তে ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল কাশ্মীর-দিল্লি
ঘটনার সূত্রপাত কয়েক সপ্তাহ আগে। রাজ্যের উদুপি জেলায় একটি সরকারি কলেজে ছয় ছাত্রীকে হিজাব পরে ক্লাস করতে বাধা দেওয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সেই ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হন এক ছাত্রী। পরে বিতর্কের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে আরও কয়েকটি কলেজে। গত বৃহস্পতিবার ওই জেলার সৈকত-শহর কুন্দাপুরের একটি কলেজে হিজাব পরে আসা কয়েক জন জন ছাত্রীকে ক্লাস করতে বাধা দেওয়া হয়। ছয় ঘণ্টা ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। শুক্রবারও একই ভাবে তাঁদের ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আজ ওই ঘটনার প্রতিবাদে কুন্দাপুরের ভান্ডারকর আর্টস এবং সায়েন্স ডিগ্রি কলেজের গেটে ৪০ জন ছাত্রী হিজাব পরে প্রতিবাদ জানান। হিজাব না খোলায় তাঁদের ক্লাসে ঢুকতে দেননি রক্ষীরা। অন্য দিকে হিজাবের পাল্টা হিসাবে অন্তত শ’খানেক ছাত্র গেরুয়া শাল পরে বিক্ষোভ দেখান।
এদিকে, সোমবার থেকে হিজাব পরে কর্ণাটকের পিইউ কলেজে ঢোকার অনুমতি পেয়েছেন পড়ুয়ারা। তবে তাঁরা অন্যান্যদের সঙ্গে একই ঘরে বসে ক্লাস করার সুযোগ পাবেন না। হিজাব পরা ছাত্রীদের বসতে হবে অন্য ঘরে।
আরও পড়ুন: UP election 2022: আজ যোগীর রাজ্যে মমতার ‘খেলা”, বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাবেন অখিলেশ