এবার ঘোড়া কেনাবেচার (পড়ুন বিধায়ক কেনাবেচা) জন্যও নাকি দিতে হবে জিএসটি (GST)! আর কেউ নয়, একথা বলছেন খোদ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। নির্মলা এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন, ঘোড়া কেনাবেচাকেও ২৮ শতাংশ জিএসটির আওতায় আনা হতে পারে। যে কারণে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, মনের কথা মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন অর্থমন্ত্রী। আসলে ঘোড় দৌড় নয়। ঘোড়া কেনাবেচার কথাই বলতে চেয়েছিলেন তিনি।
কী এমন বলেছেন সীতারমন? ঘোরদৌড়ের উপর জিএসটি আরোপ করার কথা বলতে গিয়ে ‘হর্স রেসিংয়ের’ বদলে ‘হর্স ট্রেডিং’ (বিধায়ক কেনাবেচা) শব্দ উচ্চারণ করে ফেলেন অর্থমন্ত্রী। যদিও সঙ্গে সঙ্গে ভুল শুধরে নেন সীতারমন। নির্মলা কথাটা মুখ ফসকে বললেও নিমেষে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। নেটদুনিয়ায় সেটা নিয়ে বিস্তর রসিকতাও হচ্ছে। নেটিজেনদের একাংশ বলছে, ঘোড়া কেনাবেচায় জিএসটি দিতে হলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে নির্মলার নিজের দল বিজেপিই (BJP)। কেউ কেউ আবার বলছেন, বিধায়ক কেনাবেচায় জিএসটি চালু হলে ভালই হবে, সাধারণ মানুষের করের টাকা কিছুটা হলেও বেঁচে যাবে।
আরও পড়ুন: UP: পেটে চলে গেল জ্যান্ত বান মাছ! ডাক্তার না দেখিয়ে ঝাড়ফুঁক, মৃত্যু হল যুবকের
Maharashtra's political developments almost prompted even a national GST tax on 'horse trading' !
Finance Minister @nsitharaman's freudian slip in today's GST Council press briefing ! pic.twitter.com/otlYmbAjoF
— Praveen Chakravarty (@pravchak) June 29, 2022
অর্থমন্ত্রীকে বিঁধে কংগ্রেসের পবন খেরা টুইটারে লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, নির্মলাজি, বিধায়ক কেনাবেচার উপর জিএসটি থাকা উচিত।’ কংগ্রেসের আরও এক নেতা বিনীত পুনিয়া টুইট করে লিখেছেন, ‘বিধায়ক কেনাবেচার উপর জিএসটি আরোপ নিয়ে নির্মলা সীতারমনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাচ্ছি।’ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও এ নিয়ে টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘সত্যটা বেরিয়ে গেল? বিধায়ক কেনাবেচার উপর জিএসটি! এগিয়ে চলুন।’
প্রায় এক সপ্তহেরও বেশি সময় ধরে টালমাটাল ছিল মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। তার আগে একই অবস্থা তৈরি হয়েছিল কর্নাটকে। আর সবকিছুর পিছনে সেই ঘোড়া কেনাবেচা। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই অর্থমন্ত্রীর ওই ভাইরাল ভিডিয়োতে ঘোড়া কেনাবেচার বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: Prophet remark: দেশের অশান্তির জন্য দায়ী নূপুর শর্মা, ক্ষমা চাওয়ার সুপ্রিম নির্দেশ