বিহারে তাঁকে অনেকেই আড়ালে আবডাল ‘পাল্টু রাম’ বলে ডাকেন। কারণ যখন তখন পাল্টি খেতে পারেন তিনি। এহেন নীতীশ কুমার, কাল শনিবার বারবেলার আগেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন তিনি। অর্থাৎ লালু প্রসাদের আরজেডির সঙ্গে সরকার ভেঙে দিতে পারেন তিনি। সে ক্ষেত্রে রবিবার ২৮ জানুয়ারি বিহারে বিজেপির সঙ্গে জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন এই কুর্মি নেতা।
জানা গিয়েছে, ৪ ফেব্রুয়ারি বিহারের বেতিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় উপস্থিত থাকবেন নীতীশ কুমার। জেডিইউ সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে প্রথমে পদত্যাগ করবেন নীতীশ। তারপর বিজেপি ও জিতন রাম মাঝির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনের আবেদন জানাবেন। এরপর নতুন মন্ত্রিসভা ঠিক হওয়ার পর বর্তমান বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার আর্জি জানাবেন তিনি।
সূত্রের দাবি, নীতীশই প্রথম জাতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোটে যে ভাবে তাঁকে গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছিল, তা মোটেই ভাল ভাবে নেননি। সূত্রের মতে, নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখতে নীতীশ তলে তলে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। জেডিইউয়ের একাংশও দীর্ঘ দিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছিল নীতীশের উপরে।
অন্দরের খবর, লোকসভার আগে নীতীশের এনডিএ অন্তর্ভুক্তিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিশেষ কোনও আপত্তি নেই। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের ফের এক বার নীতীশের হাত ধরতে সমস্যা নেই। কারণ তাঁরা মনে করেন, এতে ওই রাজ্যে দলের ফল ভাল হবে। যদিও সম্রাট চৌধুরী, গিরিরাজ সিংহের মতো বিহার বিজেপির কট্টর নেতারা নীতীশের অতীত বিশ্বাসঘাতকতার কারণে তাঁকে এনডিএ-তে নেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছেন। কিন্তু লোকসভা ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করে তাতে বেশি আমল দিতে নারাজ মোদী-শাহেরা।