সংসদ ভবন চত্বরে ধর্না প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করা হয়েছে। জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, কোনও সদস্য সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে পিকেটিং, ধর্মঘট, অনশন করতে পারবেন না। পাশাপাশি সেখানে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হবে না। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। রাজ্যসভার সাংসদ এবং প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ট্যুইট করে তোপ দাগেন। ট্যুইটে তিনি লেখেন,”বিশ্বগুরুর নতুন কাজ…D(h)arna মানা হ্যায়!”
Vishguru's latest salvo — D(h)arna Mana Hai! pic.twitter.com/4tofIxXg7l
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) July 15, 2022
আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে তা ধর্ষণ নয়, রায় কেরল হাইকোর্টের
লোকসভার (Lok Sabha) বিগত বেশ কয়েকটি অধিবেশনে দেখা গিয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মঞ্চ হিসাবে সংসদ ভবনকে ব্যবহার করেছে বিরোধীরা। সে কৃষি আইন হোক, সাংসদদের সাসপেনশন হোক, ইডি-সিবিআইয়ের (ED-CBI) মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার হোক বা মূল্যবৃদ্ধির মতো ইস্যু। সবক্ষেত্রেই প্রতিবাদের মঞ্চ হিসাবে উঠে এসেছে সংসদ চত্বর। কখনও গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনা, কখনও অনশন করে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে বিরোধী শিবির। আসলে সংসদ ভবনকে প্রতিবাদের মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করলে সহজে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। তাছাড়া এই প্রথম নয়, ঐতিহাসিকভাবেই সংসদভবন ব্যবহৃত হয়েছে প্রতিবাদের মঞ্চ হিসাবে। কিন্তু এবার বিরোধীদের সেই মঞ্চটিও কেড়ে নিতে চাইছে সরকারপক্ষ।
শুক্রবার রাজ্যসভার সচিব পি সি মুদি এক বিজ্ঞপ্তিতে সাংসদদের জানিয়েছেন, সংসদের কোনও সদস্য আর সংসদ চত্বরে ধরনা, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, অনশন বা কোনওরকম ধর্মীয় আচার পালন করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে সব সদস্যের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বাদল অধিবেশনের আগে ইতিমধ্যেই শব্দ ‘ফরমান’ জারি হয়েছে সংসদে (Parliament)। একগুচ্ছ শব্দতালিকা প্রকাশ করেছে লোকসভার সচিবালয়। আর বলা যাবে না ‘লজ্জাজনক’, ‘নির্যাতন’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘নাটক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘অযোগ্য’, ‘ভণ্ডামি’র মতো শব্দ। কেন? কারণ মোদি (Narendra Modi) সরকারের সচিবালয়ের মতে এগুলি ‘অসংসদীয়’ শব্দ। এই ঘটনায় একযোগে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস (Congress) থেকে তৃণমূল (TMC) সকলেরই বক্তব্য, আদতে বিরোধী কণ্ঠরোধ করাই সরকারের উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: ‘মঙ্গলসূত্র খুলে রাখা স্ত্রীর মানসিক ক্রুরতারই চিহ্ন’, অবাক রায় হাইকোর্টের