আপাতত নয়া কোনও রাজনৈতিক দল তৈরির পরিকল্পনা নেই। এমনটাই জানালেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। তবে তাঁর ইঙ্গিত, বিহারের পরিবর্তন চান, এমন মানুষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে সেই কাজটা করতে পারেন।
বিহারে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে ৩,০০০ কিলোমিটার পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন পিকে। যা আগামী ২ অক্টোবর পশ্চিম চম্পারণ থেকে শুরু হতে চলেছে। তাঁর বক্তব্য, নয়া চিন্তাধারার ভিত্তিতে বিহারে পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে। বিহারের যে ব্যক্তিদের সেই সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা আছে এবং যাঁদের মধ্যে পরিবর্তনের আকাঙ্খা আছে, তাঁদের সঙ্গে ময়দানে নামবেন তিনি। যে এলাকায় যাঁরা আছেন, তাঁদের একটি ছাতার তলায় আসতে হবে।
প্রশান্ত বলেন, ‘‘আমার কোনও রাজনৈতিক ঐতিহ্য নেই। আমি কোনও রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য নয়। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী (‘You will see me as a political activist in Bihar’)। কোনও বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে আমার রেষারেষিও নেই। আমি বিহারের ভাল চাই। তার জন্য আমার যে রণকৌশল তা আমি সবাইকে জানিয়েছি।’’
‘‘ভোট আমার লক্ষ্য নয়। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে পদযাত্রা শুরু করছি না আমি’’ বললেন প্রশান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘ভোটে জিততে হলে তার কৌশল আমার জানা আছে, সেটা করতে হলে আমি মানুষের সঙ্গে কথা বলার প্রয়াস করতাম না। ভোটে জেতার জন্য যা করা দরকার সেটুকুই করতাম।’’প্রশান্ত জানিয়ে দিলেন, যদি রাজনৈতিক দল হয়ও তবে তিনি সেই দলের সর্বেসর্বা হবেন না। শুধু সদস্য হবেন।
এক বছর ভেবে ঠিক করেছি, আমি বিহারে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কাজ করব। বাংলার ভোটের ফল প্রকাশের পরই আমি বলেছিলাম ভোটকুশলী হিসেবে আর কাজ করব না। প্রশান্ত কিশোর বললেন, কংগ্রেস আমার পরামর্শ নিতে চেয়েছিল তার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। তবে যে সমাধানের উপায় আমি বলেছিলাম,তাতে ওঁরা সহমত হননি। আমি বলেছিলাম কংগ্রেস সভানেত্রীর নেতৃত্বে একজন এক্সিকিউটিভ নিয়োগ করা দরকার। যিনি এই সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু ওঁরা তা মনে করেননি। তাই আমি সরে এসেছি।