উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির পুরনাবৃত্তি ওড়িশার খুরদা জেলায়। বিজেডি দলের সাসপেন্ডেড বিধায়কের গাড়ির ধাক্কায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হলেন অন্তত ২৪ জন। যাঁর মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন মহিলাও। ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অভিযুক্তকে মারধরের পাশাপাশি এবং তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। ফলে রীতিমতো রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বানপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষ্যে ব্লক অফিসের কাছে জড়ো হয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। সেই সময় এসইউভি নিয়ে হাজির হন এমএলএ প্রশান্ত জগদেব। তিনি ব্লক অফিসের দিকে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ ও বিজেপি কর্মীরা তাকে আটকান। ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (সেন্ট্রাল রেঞ্জ )নরসিংহ ভোল জানিয়েছেন, বিধায়ক এক্সিলেটর দাবিয়ে একেবারে ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে দিলেন। অন্তত ২৪ জন জখম হয়েছেন। বানপুরের এক পুলিশ ইনস্পেক্টর সহ পাঁচজন গুরুতর জখম হয়েছেন। উত্তেজিত জনতা বিধায়ককেও মারধর করেছে। প্রসঙ্গত এর আগেও ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে বিজেপির দলিত নেতাকে চড় মারা সহ বদমেজাজির নানা অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: UP Assembly Election 2022: প্রথম বিধানসভা ভোটে প্রথম রাউন্ড থেকেই প্রথমে, ইউপি’র ভরসা যোগীতেই
ইন্সপেক্টর জেনারেল নরসিংহ ভোল জানাচ্ছেন, চালকের আসনে ছিলেন প্রশান্ত জগদেবই। তিনিই পঞ্চায়েত অফিসের দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসার সময় একের পর এক বিজেপি কর্মীকে ধাক্কা দেন। অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন। কর্মীদের পাশাপাশি গুরুতর চোট পান বানপুর থানার পাঁচ পুলিশ ইন্সপেক্টরও। আর এতেই চূড়ান্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। অভিযুক্তর গাড়ি থামিয়ে তাঁকে বের করে এনে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় তাঁর গাড়িটিও। এমনকী তাতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশের দাবি, তাঁকে গাড়ি থামাতে বললেও তা কানে তোলেননি প্রশান্ত জগদেব। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন ওই সাসপেন্ডেড বিধায়ক। ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনিও। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে তাঁকে ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
আরও পড়ুন: Jabalpur: বিমানবন্দরে রানওয়ে থেকে পিছলে গেল বিমান, অল্পের জন্য রক্ষা পেল ৫৫ জন যাত্রী