On the first day of the new year, in a terrible accident, Vaishnadevi died after stepping on the temple

নতুন বছরের প্রথম দিনেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা, বৈষ্ণদেবী মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত

বছরের প্রথম দিনেই দুঃসংবাদ। বৈষ্ণদেবী মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ১৩ জন। জানা গিয়েছে, শনিবার ভোর তিনটে নাগাদ মন্দির চত্বরে বিপুল সংখ্যক ভক্তের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ হালকা লাঠিচার্জ করে। তারপরেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১২ জনের। জখম ১৩ জনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যেও বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসির কাটরায় রয়েছে এই বৈষ্ণদেবী মন্দির। প্রতি বছরের মতো এবারও নতুন বছর ভালো কাটার প্রার্থনা করতে সেখানে পুজো দিতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু ভক্ত। জানা গিয়েছে, কাটরা থেকে ২৫ হাজার পুন্যার্থী মন্দিরে এসেছিলেন। শনিবার মাঝরাতে পুজো দেওয়ার লাইনে প্রবল ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়।

করলে পদদলিত হয়, কর্মকর্তারা বলেন, “ভক্তদের একটি বড় দল অনুমতি ছাড়াই ভবনে প্রবেশ করেছিল বলে জানা গিয়েছে। ” পুলিশ জানিয়েছে যে উদ্ধার অভিযান অবিলম্বে শুরু হয়েছে এবং সমস্ত আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যেখানে কয়েকজনের অবস্থা “গুরুতর” বলে জানান হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মাতা বৈষ্ণদেবী শ্রাইন বোর্ডের হেল্পলাইন নম্বর শেয়ার করেছেন। “মাতা বৈষ্ণদেবী ভবনে পদদলিত হয়ে প্রাণহানির কারণে অত্যন্ত দুঃখিত,” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর “শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা পাঠাতে” বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে প্রত্যেককে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। পিএমও বলেছে যে মাতা বৈষ্ণদেবী ভবনে পদদলিত হয়ে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারকে এই অর্থ দেওয়া হবে। আহতদের ৫০০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত নাজেহাল পরিস্থিতি হয় পুলিশকর্মীদের। হালকা লাঠিচার্জ করলে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৈষ্ণ দেবী শ্রাইন বোর্ড মৃতের আত্মীয়দের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছে। দুর্ঘটনার জেরে আপাতত বৈষ্ণদেবী যাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছে।