One nation one election

One nation one election: এক দেশ, এক ভোট’ কি তবে চালু হচ্ছে?

তবে কি তৃতীয় মোদী সরকারের আমলেই কার্যকর হয়ে যাবে?

লোকসভায় আর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই বিজেপির। গুরুত্ব বেড়েছে এনডিএ জোটের। এরই মধ্যে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চালু করতে সক্রিয় কেন্দ্রের জোট সরকার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এনডিএ সরকারের চলতি মেয়াদকালেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ কার্যকর হবে। নাম গোপন রাখার শর্তে ওই সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছে, “অবশ্যই এটি চলতি মেয়াদেই কার্যকর হবে। এটি বাস্তব রূপ নেবে।”

‘এক দেশ, এক ভোট’? একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে রবিবার এমন ইঙ্গিতই দিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। সেই সূত্রের বক্তব্য, ‘এক দেশ, এক ভোট নিঃসন্দেহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই মেয়াদেই কার্যকর হবে। সরকার নিশ্চিত, ভোট সংস্কারের এই পদক্ষেপগুলো সব দলেরই সমর্থন পাবে এবং এ ব্যাপারে জোটসঙ্গীদেরও পাশে পাবে তারা।’

২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারেই ‘এক দেশ, এক ভোট’ কার্যকর করার আশ্বাস ছিল। তা ছাড়া ভোটের প্রচার থেকেই মোদীকে একাধিকবার বলতে শোনা গিয়েছে, তাঁর তৃতীয় দফার মেয়াদে ‘বড়সড় সিদ্ধান্ত’ নিতে চলেছেন।

যদিও বিজেপি বিরোধী দলগুলি শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ প্রক্রিয়ার। তাদের মতে, এই নীতি নিয়ে মোদী সরকার ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার পরিপন্থী বলেও বিরোধী নেতৃত্বের অভিযোগ। বিশেষত বিজেপি-বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির আশঙ্কা, ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকর হলে লোকসভার ‘ঢেউয়ে’ বিধানসভাগুলি ‘ভেসে যাবে’। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয়, সাংসদ এবং বিধায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেটুকু বৈচিত্রের সম্ভাবনা রয়েছে, বিজেপির আগ্রাসী প্রচারের মুখে তা ভেঙে পড়বে বলেও অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলগুলি।