সম্প্রতি তাজমহল নিয়ে নতুন করে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। গত ৫ মে তাজমহলে ধর্ম সংসদ অনুষ্ঠিত করার ডাক দিয়েছিলেন অযোধ্যার সাধু জগদ্গুরু পরমহংস আচার্য। তিনি আবার শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করার কথাও বলেছিলেন তাজমহলে। এই বিতর্কের মাঝেই এবার অযোধ্যা জেলায় ভারতীয় জনতা পার্টির মিডিয়া ইনচার্জ ডঃ রজনীশ সিং আবেদন দায়ের করেন। আদালতে আবেদনকারীর প্রতিনিধিত্ব করছেন অ্যাডভোকেট রুদ্র বিক্রম সিং।
আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা রজনীশ সিং দাবি করেন, ‘তাজমহল নিয়ে পুরনো বিতর্ক রয়েছে। তাজমহলের প্রায় ২০টি কক্ষ তালাবদ্ধ এবং কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। ধারণা করা হয়, এসব ঘরে হিন্দু দেবতা ও ধর্ম সম্পর্কিত মূর্তি রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আমি হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছি যাতে আর্কেওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে এই কক্ষগুলি খোলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এই কক্ষগুলি খোলা হলে এই সংক্রান্ত যাবতীয় বিতর্ক থেমে যাবে আর তা করতে তো কোনও ক্ষতি নেই।’
আরও পড়ুন: Army Pension: এপ্রিলের পেনশন পাননি ৫৮ হাজার সেনাকর্মী, মেলেনি কোনও ব্যাখ্যাও
আবেদনে, মামলাকারী আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন যাতে রাজ্য সরকারকে এই নিয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই কমিটি উক্ত কক্ষগুলি পরীক্ষা করবে এবং সেখানে হিন্দু মূর্তি বা ধর্মগ্রন্থের সাথে সম্পর্কিত কোনও প্রমাণ আছে কি না তা খুঁজবে। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকটি কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠন তাজমহলকে তেজো মহালয়া নামক একটি হিন্দু মন্দির বলে দাবি করে।
বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্য, ১৯৯১ সালের ধর্মস্থান সংক্রান্ত আইনে বলা রয়েছে, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ভারতের স্বাধীনতার দিন যেখানে যে ধর্মস্থান রয়েছে, সেখানে তা থাকবে। বাবরি ধ্বংসের এক বছর আগে তৈরি ওই আইন মানলে কাশী বা মথুরা মন্দিরের লাগোয়া মসজিদ সরানোর দাবি অনৈতিক। বিরোধীদের অভিযোগ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিক্রি, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মতো দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাকে আড়াল করতেই ধর্মীয় উত্তেজনা তৈরি করে বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী সরকারের ব্যর্থতা থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতেই এই বিষয়গুলি নিয়ে হাওয়া গরম করে ফায়দা তুলতে চাইছে তারা।
আরও পড়ুন: Indore: প্রাক্তন প্রেমিকাকে পুড়িয়ে মারতে বাড়িতে আগুন ‘প্রেমিকের’, ঝলসে মৃত ৭