মহারাষ্ট্র, দিল্লি, পঞ্জাবের পর এবার তেলেঙ্গানাতেও ‘অপারেশন লোটাস’ চালানোর অভিযোগ বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে। সেরাজ্যের শাসকদল টিআরএসের চার বিধায়ককে মাথা পিছু ৫০ কোটি টাকা এবং পদের বিনিময়ে দলবদলের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পদ্ম পার্টির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপি ঘনিষ্ঠ দুই ধর্মগুরু এবং এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে তেলেঙ্গানার পুলিশ (Telengana Police)।
অভিযোগ, তেলেঙ্গানার চার বিজেপি বিধায়ককে কেনার জন্য মোট আড়াইশো কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিজেপির তরফে। বিধায়ক পিছু ৫০ কোটি টাকা এবং তাঁদের নেতাকে ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার টোপ দিয়েছিল বিজেপি। যদিও টিআরএস (TRS) বিধায়করাই সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে বলে দাবি করেছে কেসিআরের পুলিশ। তদন্ত করে পুলিশ জানতে পেরেছে ঘোড়া কেনাবেচা করতে অভিযুক্তরা ভুয়ো পরিচয় নিয়ে তেলেঙ্গানায় এসেছিল। তারা জানায় আটক ব্যক্তিরা নিজেদের হরিয়ানার ফরিদাবাদের পুরোহিত সতীশ শর্মা ওরফে রামচন্দ্র ভারতী, তিরুপতির মঠাধীশ ডি সিমায়াজি এবং ব্যবসায়ী নন্দকুমার।
পুলিশের অভিযোগ, টিআরএসের চার বিধায়ককে কেনার লক্ষ্যে তিন ব্যক্তিকে হায়দরাবাদে পাঠিয়েছিল বিজেপি। হরিয়ানার এক মন্দিরের পুরোহিত রামচন্দ্র ভারতী, তিরুপতির ধর্মগুরু ডি শিমায়াজি এবং নন্দকুমার নামের এক ব্যবসায়ী টিআরএস বিধায়কদের দলবদলের প্রস্তাব দিতে হায়দরাবাদের একটি খামার বাড়িতে গিয়েছিল।সন্ধ্যায় আজিজ নগরে অবস্থিত খামারবাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ । টিআরএস বিধায়করা পুলিশকে ডেকে বলেন, দল পরিবর্তন করার জন্য প্রলোভন ও ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’
যে বিধায়কদের দলবদলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বাড়িতে। যদিও বিজেপি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গোটা দক্ষিণ ভারতের মধ্যে একমাত্র কর্ণাটক (Karnataka) ছাড়া সেভাবে কোনও রাজ্যেই তেমন প্রভাব নেই বিজেপির।