Opposition leaders protest outside SEBI over stock market manipulation

SEBI শেয়ার কেলেঙ্কারিতে তদন্তের দাবি, সেবি অফিসের বাইরে বিক্ষোভ তৃণমূল সঙ্গে ইন্ডিয়া

লোকসভা নির্বাচনের এক্সিট পোলকে হাতিয়ার করে শেয়ার বাজারে বিপুল টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এই ইস্যুতে মঙ্গলবার সেবি অফিসে যাওয়ার আগে শরদ পওয়ারের বাড়িতে বৈঠক করেন তৃণমূলের ৩ সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাগরিকা ঘোষ এবং সাকেত গোখলে। তৃণমূল নেতৃত্বের পাশাপাশি এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শরদ পওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে, বিদ্যা চৌহান এবং শিব সেনা (উদ্ধব) শিবিরের সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্ত। সেখান থেকে বেরিয়ে সেবি অফিসে গিয়ে সেবি চেয়ারম্যান মাধবী পুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিরোধী নেতৃত্বরা। সেবির কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পাশাপাশি অফিসের বাইরে বেরিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী নেতৃত্বরা।

শেয়ার বাজারে অদৃশ্য নয়ছয় করার অভিযোগ জানালেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। তাঁদের অভিযোগ, এ মাসের গোড়ায় বুথফেরত সমীক্ষার পর আচমকাই আদানি-আম্বানিসহ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারদর রাতারাতি আকাশ ছুঁয়ে যায়। এর পিছনে কারও না কারও হাত রয়েছে। এই রহস্যের পিছনে দুর্নীতি আছে বলে অভিযোগ তৃণমূল সাংসদদের। তাঁরা এর তদন্ত দাবি করেন সেবির কাছে।

সেবি-র কাছে অভিযোগ জমা দেওয়ার পর উদ্ধব সেনা নেতা সাওয়ান্ত বলেন, বুথফেরত সমীক্ষার পর আচমকাই বাজার থেকে সাধারণ মানুষের ১৩ লক্ষ কোটি টাকা উবে যায়। এর পিছনে কার বা কাদের হাত আছে? তাদের সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করে দেখা উচিত। মুম্বইয়ে সেবির দফতরের সামনে তৃণমূল, উদ্ধব সেনা এবং শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর এনসিপি নেতারা বিক্ষোভ দেখান এবং স্লোগান দেন।

বৃহত্তম শেয়ার বাজার দুর্নীতিতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। কংগ্রেসের অভিযোগ, বুথফেরত সমীক্ষার পর আচমকা উত্থান ও ভোটের ফল প্রকাশের পর হঠাৎ পতনে ছোট বিনিয়োগকারীদের বাজার থেকে ৩০ লক্ষ কোটি টাকা উধাও হয়ে যায়। এটা হল বৃহত্তম স্টক মার্কেট কেলেঙ্কারি। এর তদন্ত হোক। যদিও বিজেপির তরফে বিরোধীদের এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।