বাংলা তথা দেশে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে বিজেপি সরকার। আর এই একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধেই ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বাংলায় রাজ্যপাল ও গেরুয়া শিবিরের ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন নিয়ে ফের তোপ দাগেন তিনি। সঙ্গে বার্তা, ‘আমার একসঙ্গে লড়ব’।
নজরে ২০২৪। এপ্রিলে কলকাতায় এসে মমতার সঙ্গে বৈঠক করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সঙ্গে তেজস্বী যাদব। সেই নীতীশ কুমারের ডাকেই এবার পাটনায় বৈঠকে বসল ১৭টি বিরোধী দল। একমঞ্চে দেখা গেল সীতারাম ইয়েচুরি, রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি দেশজুড়ে যে অত্যাচার চালাচ্ছে তাতে ইতি টানতেই বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন৷
তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘আমাদের বিরোধী বলে ডাকবেন না৷ আমরাও দেশের নাগরিক৷ মণিপুর জ্বললে আমাদেরও খারাপ লাগে৷ বিজেপি-র অত্যাচারী, একনায়তান্ত্রিক সরকার শেষ করতে হবে৷ আমাদের ওখানে রাজ ভবন থেকে সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছে৷ কেউ বিরোধী কথা বললেই ইডি, সিবিআই লাগিয়ে দিচ্ছে৷ দলিত, মহিলা, কর্মসংস্থান নিয়ে চিন্তা করে না৷ একশো দিনের টাকা দেয় না৷ রক্ত বইলে বইবে, কিন্তু আমরা দেশকে রক্ষা করব৷ এবারের ভোটে বিজেপি জিতলে আর ভবিষ্যতে দেশে নির্বাচনই হবে না৷’
#WATCH | Patna, Bihar: Bengal CM Mamata Banerjee during the joint opposition meeting said “We are united, we will fight unitedly…The history started from here, BJP wants that history should be changed. And we want history should be saved from Bihar. Our objective is to speak… pic.twitter.com/BB2qLgbApP
— ANI (@ANI) June 23, 2023
আরও পড়ুন: Cyclone Biparjoy: প্রতি মুহূর্তে বাড়াচ্ছে শক্তি, কোথায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়?
এরপরই তাঁর নিশানায় উঠে আসে রাজভবন তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কার্যকলাপ। পাটনার বৈঠকেও প্রকট হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। উপাচার্য নিয়োগ থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন- সবকিছু নিয়েই আক্রমণ শানান মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “রাজভবন থেকে সমান্তরাল সরকার চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। নিজের ইচ্ছে মতো উপাচার্য নিয়োগ করা হচ্ছে। এমনকী আমাদের কিছু না জানিয়েই রাজভবনে বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করা হয়েছে। কিছু বললেই ইডি-সিবিআই পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধেই লড়াই করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। পাটনার বৈঠক থেকেই সেই ইতিহাস শুরু হয়। অভিন্ন কর্মসূচি ঠিক করতে সিমলায় আবার বৈঠকে বসব আমরা।”