২০১৮ থেকে ২০২০, এই তিন বছরে আর্থিক অসঙ্গতির কারণে ২৫ হাজারের বেশি ভারতীয় আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার সংসদে সরকারিভাবে এই তথ্য প্রকাশ করল কেন্দ্র। তার পর থেকেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ছে কেন্দ্রের মোদি সরকার।
বেকারত্বের কারণে ২০২০ সালে ভারতে আত্মহত্যার সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বুধবার রাজ্যসভায় এই তথ্য প্রকাশ করে। ২০২১ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য উদ্ধৃত করে সরকার জানায়, মহামারীর জেরে যখন দেশে লকডাউন জারি করা হয়েছিল তখন প্রয়োজনীয় পরিষেবা শিল্প ছাড়া বাকি সব পরিষেবা কয়েক মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তখন সঙ্কটের মধ্যে পড়ে অনেকেই বেকার হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: একলাফে সম্পত্তি বাড়ল প্রায় কয়েকগুণ! মুকেশকে পিছনে ফেলে এশিয়ার ধনী গৌতম আদানি
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বেকারত্ব এবং দেউলিয়া বা ঋণগ্রস্ত হওয়ার কারণেই সাম্প্রতিক তিন বছরে (২০১৮, ২০১৯, ২০২০ সালের পূর্ণাঙ্গ তথ্য অনুযায়ী) ২৫,২৩১ জন আত্মহত্যা করেছেন। রাজ্যসভার সদস্য বিষম্বর প্রসাদ নিষাদ, সুখরাম সিং যাদব এবং ছায়া ভার্মা এই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়েছিলেন সরকারের কাছে। তার প্রেক্ষিতেই এই তথ্য প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
আত্মপক্ষ সমর্থনে অবশ্য অন্যান্য কিছু ব্যাখ্যাও দিয়েছে অমিত শাহর মন্ত্রক। আত্মহত্যার মতো মানসিক রোগ থেকে দেশবাসীকে মুক্তি দিতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই কথা বলা হয়। একইসঙ্গে জনগণকে আয়ের পথ দেখাতে পাঁচটি প্রকল্পের উল্লেখও করা হয়। কিন্তু সেই প্রকল্পের সমস্ত সুবিধা যে দেশের আমজনতার কাছে সম্পূর্ণভাবে পৌঁছয়নি তা এই আত্মহত্যার পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশ ভোটের দিনেই জামিন লখিমপুর কাণ্ডে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে