অবিবাহিত যুগলদের হোটেলে জায়গা দেওয়ার ব্যাপারে নিয়মে বদল আনল ওয়ো। এ বার থেকে ওয়োর হোটেল মানেই আর অবিবাহিত প্রেমিক-প্রেমিকারা চোখ বন্ধ করে বুকিং করতে পারবেন না। বরং হোটেলে থাকতে হলে তাঁদের সম্পর্কের প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে। নতুন বছরে এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ওয়ো। সম্প্রতি এই মর্মে একটি নির্দেশিকা চালু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মিরাট থেকে।
ওয়ো-র নতুন নিয়ম অনুযায়ী, হোটেলে চেক-ইনের সময় প্রত্যেক যুগলকে সম্পর্কের প্রমাণপত্র দিতে হবে। যদি অনলাইনে বুকিং হয়, তাহলে OYO-র কোনও হোটেল বুক করার সময়তেই এই অপশন চলে আসবে। শুধু তাই নয়, সামাজিক পরিচিতি কিংবা স্থানীয়দের দিয়ে প্রভাব খাটিয়েও কোনও অবিবাহিত যুগল যাতে হোটেলে ‘চেক-ইন’ করতে পারবেন না।
অবিবাহিত যুগল হোটেলে থাকতে পারবেন না, এমন কোনও নিয়ম বা আইনি নিষেধাজ্ঞা ভারতে নেই। কিন্তু বিভিন্ন সময়েই দেখা যায়, সামাজিক চাপ এবং খানিকটা আইনি জটিলতায় জড়াবেন না বলে প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য হোটেলের দরজা বন্ধ করে দেন অনেক কর্তৃপক্ষ। সে ক্ষেত্রে ওয়ো ছিল উল্টো। বস্তুত, ২০১৩ সালের মে মাসে ‘ওয়ো রুমস’-এর প্রতিষ্ঠা এবং কয়েক বছরের মধ্যে সংস্থার আকাশছোঁয়া সাফল্যের নেপথ্যে অন্যতম কারণই হল অবিবাহিত যুগলদের হোটেলে থাকার ছাড়পত্র। তুলনামূলক কম দামে ভাল হোটেলের ঠিকানা জানায় ওয়ো। কিন্তু হঠাৎ নিয়ম বদলের কারণ কী?
ওয়ো একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, সম্প্রতি নাগরিক সমাজের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত। বিশেষত, মিরাট থেকে এমন আবেদন অনেক এসেছে। তা ছাড়া অন্যান্য শহর থেকেও এমন অনেক আবেদন আসছে। সকলেই চাইছেন অবিবাহিত যুগলদের হোটেলে থাকার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আনা হোক। এমন সমস্ত আবেদন খতিয়ে দেখার পরে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়ো। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ওয়ো সংস্থার উত্তরাঞ্চলের প্রধান পবস শর্মা বলেন, ‘‘নিরাপদ এবং দায়িত্বশীল আতিথেয়তার ব্যাপারে আমরা সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিস্বাধীনতাকে যথেষ্ট সম্মান করি। সেইসঙ্গে, আমরা নাগরিক সমাজ এবং আইন প্রয়োগকারীদের জন্য আমাদের দায়িত্বের কথাও ভুলে যাব না। তাই এই নয়া নীতির প্রভাব পর্যায়ক্রমে পর্যালোচনা করব।”