এবার মোট ১৩২ জনকে পদ্ম সম্মানে ভূষিত করা হবে বলে ঘোষণা করা হল প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে। এবারে বিহার থেকে একজনকে মরণোত্তর ভারত রত্ন দেওয়া হচ্ছে। এটাই দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান। এছাড়া বিহারের ২ জনকে এবার পদ্ম বিভূষণ দেওয়া হচ্ছে। দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান এটা। বিহারের একজন পাচ্ছেন পদ্মভূষণ। দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মান এটা। আর বিহারের ৪ জন পাচ্ছেন পদ্মশ্রী সম্মান। দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান এটা।
এদিকে তামিলনাড়ুর ২ জন পদ্ম বিভূষণ পাচ্ছেন, ১ জন পদ্মভূষণ পাচ্ছেন এবং ৫ জন পদ্মশ্রী পাচ্ছেন। এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের ২ জন পদ্ম বিভূষণ পাচ্ছেন, ১ জন পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হচ্ছেন। এছাড়া মহারাষ্ট্রের ৬ জন পদ্মভূষণ পাচ্ছেন, ৬ জন পদ্মশ্রী পাবেন।
এদিকে বাংলার ৩ জন পদ্মভূষণ পাচ্ছেন। ৮ জন পাচ্ছেন পদ্মশ্রী সম্মান। বাংলার মোট ১১ জন পদ্ম সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। মোট পদ্ম সম্মানের সংখ্যার নিরিখে বাংলা মহারাষ্ট্রের পরে উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে আছে। এদিকে যদি অলিম্পিকের পদক পদ্ধতিতে (ভারত রত্ন এবং বাকি সম্মানের মানদণ্ডের বিচারে) দেখা হয়, তাহলে বাংলা আছে তালিকার পঞ্চম স্থানে। এবছর পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন বাংলার অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর পাশাপাশি বাংলার শিল্পী ঊষা উত্থুপও পদ্মভূষণ পেয়েছেন ।
বাংলা থেকে পদ্মশ্রী পেয়েছেন ৮ জন। পুরুলিয়ার আদিবাসী পরিবেশকর্মী দুখু মাজি এবং ছৌ নাচের মুখোশ শিল্পী নেপালচন্দ্র সূত্রধর রয়েছেন এই ৮ জনের মধ্যে। যদিও নেপাল সূত্রধর ২০২৩ সালে গত হয়েছেন। তাঁকে দেওয়া হবে মরণোত্তর সম্মান। তাঁরা ছাড়াও বাংলা থেকে পদ্মশ্রী প্রাপকদের তালিকায় রয়েছেন , কলকাতার মৃৎশিল্পী সনাতন রুদ্র পাল এবং বীরভূমের ভাদু শিল্পী রতন কাহার। বাংলা থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের পদ্মশ্রী পেয়েছেন একলব্য শর্মা এবং নারায়ণ চক্রবর্তী। শিল্পে পদ্মশ্রী প্রাপকের নাম তাকদিরা বেগম এবং গীতা রায় বর্মণ।