নিত্য ব্যবহৃত জিনিসের মূল্য বৃদ্ধিতে ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। তার মধ্যে নতুন করে জানা যাচ্ছে, এবার বাড়তে চলেছে ওষুধের দাম। এপ্রিল থেকে অন্তত ৮০০ র বেশি জরুরি ওষুধের দাম এক ধাক্কায় ১০% বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যেসব ওষুধের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে জ্বর, হার্ট সংক্রান্ত রোগ, হাই ব্লাড প্রেসার এবং অ্যানিমিয়া রোগের ওষুধ রয়েছে। এমনিতেই এই ওষুধের দাম অনেকটাই বেশি সাধারণের তুলনায়। তার ওপর নতুন করে আবার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চাপ বাড়াবে মধ্যবিত্তের বলেই মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবারই ন্যাশনাল ফার্মাসিটিউক্যাল প্রাইসিং অথারিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয় যে, হোলসেল প্রাইজ ইনডেক্সের পরিবর্তন করা হচ্ছে। ২০২১ সালের অর্থবর্ষ অনুযায়ী ওষুধের দাম ১০.৭ শতাংশ বাড়ছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে একাধিক ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ ওষুধই অত্যাবশ্যকীয়। এই ওষুধগুলির ১০.৭ শতাংশ দাম বৃদ্ধির কারণে এক ধাক্কায় বেশ অনেকটাই দাম বাড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এনপিপিএ-র তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, “কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের অর্থনীতি পরামর্শদাতার দফতর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালের হিসাবের ভিত্তিতে ওষুধের দাম ১০.৭৬ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
কোন কোন ওষুধের দাম বাড়বে?
১.জ্বর
২. সংক্রমণ
৩. হৃৎরোগ
৪. উচ্চ রক্তচাপ
৫. ত্বক
৬. রক্তাল্পতা
প্যারাসিটামল, ফেনোবারবিটোন, ফেনিটোইন সোডিয়াম, অ্যাজ়িথ্রোমাইসিন, সিপ্রোফ্লোক্সাসিন, হাইড্রোক্লোরাইড ও মেট্রোনিডাজ়লের মতো ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে। ড্রাগ (প্রাইজ কন্ট্রোল) অর্ডার, ২০১৩-র নির্দেশিকা অনুযায়ীই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকেই এই নতুন দাম কার্যকর হতে চলেছে।