মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে যা নিয়ে তীব্র বিতর্কের জেরে ৩১ সদস্যের সংসদীয় কমিটি গড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই কমিটিতে মহিলা সদস্য মাত্র এক জন।
সেই মহিলা সদস্য হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খতিয়ে দেখতে ৩১ জনের মধ্যে কেন মাত্রা ১ জন মহিলা সদস্য? তা নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এপ্রসঙ্গে কী মনে করছেন সাংসদ সুস্মিতা দেব? তাঁর জবাব, ‘আরও বেশি মহিলা সাংসদ স্থায়ী কমিটিতে থাকলে ভালো হত। তবে এটা নিশ্চিৎ করছি যে আমরা এই বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত যাবতীয় গোষ্ঠীর কথা শুনবো।’
বাল্যবিবাহ রোধ আইন ২০০৬ (Prohibition of Child Marriage Act, 2006)-এ সংশোধনী আনতে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভায় পেশ করা হয় একটি বিল। যেখানে বিশেষ বিবাহ আইন (Special Marriage Act) এবং হিন্দু বিবাহ আইন (Hindu Marriage Act, 1955)-এও সংশোধনী প্রস্তাব রয়েছে। তুমুল বিতর্কের পর ওই বিল পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় শিক্ষা, নারী, শিশু, যুব ও ক্রীড়া সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে।
নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের বিলটিতে মেয়েদের বৈধ বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১-এ উন্নীত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিজেপির প্রবীণ নেতা বিনয় সহস্রবুদ্ধের নেতৃত্বে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যতালিকা আপলোড করা হয়েছে রাজ্যসভার ওয়েবসাইটে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই ৩১ জন সদস্যের তালিকায় এক মাত্র মহিলা সাংসদ হিসেবে ঠাঁই পেয়েছেন তৃণমূলের সুস্মিতা দেব।
এপ্রসঙ্গে জয়া জেটলি জানিয়েছেন যে, প্রস্তাবিত আইনটি পর্যালোচনার জন্য স্থায়ী কমিটির সদস্যদের ৫০ শতাংশ মহিনা না হলে তা ন্যায়সঙ্গত হবে না। জেটলির কথায়, ‘পারলে আমি সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুরোধ করব বিশেষ করে যারা মহিলা সংরক্ষণের পক্ষে, কমিটি থেকে পুরুষ সাংসদদের বদলে মহিলা সাংসদের অন্তর্ভুক্তি করুন। কারণ এক্ষেত্রে মহিলাদের নানাস্তরে আলোচনা প্রয়োজন।’
স্থায়ী কমিটিতে কোন দলের কত জন সদস্য থাকবেন তা নির্ধারিত হয় সংসদে ওই দলের সাংসদ সংখ্যার উপর ভিত্তি করে।