ব্যাঙ্ক থেকে পেনশন তুলতে গিয়ে হয়রানির অভিযোগ কোনও নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু এবার এমন এক ভিডিয়ো সামনে এসেছে। যা দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন অনেকেই। এমনকি খোদ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনও নড়েচড়ে বসেছেন ঘটনাটি নিয়ে। ভাইরাল এক ভিডিয়োতে উঠে এসেছে এক মহিলার প্রাণান্তকর কষ্ট।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃদ্ধার নাম সূর্য হরিজন। তাঁর বড় পুত্র ভিন্রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন।ছোট পুত্রের পরিবারের সঙ্গে একটি কুঁড়েঘরে থাকেন তিনি। জীবিকা নির্বাহ করেন অন্যের বাড়ির গবাদি পশু চরিয়ে। চাষবাস করার মতো জমি পর্যন্ত তাঁর কাছে নেই। তাই পেনশনের সামান্য টাকায় সংসার কোনও মতে চলে বৃদ্ধা সূর্যের। তাই সেই টাকা তুলতে না গিয়েও উপায় নেই।
তবে সোমবার পেনশন তুলতে গিয়ে ব্যাঙ্কের নির্দেশে খালি হাতেই ফিরতে হয় বৃদ্ধাকে। বৃদ্ধা পেনশন নিতে ব্যাঙ্কে যাওয়ার পর তাঁকে বলা হয়েছিল যে, তাঁর বুড়ো আঙুলে ছাপ রেকর্ডের সঙ্গে মিলছে না। এর পর তাঁকে ব্যাঙ্কের তরফে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়। এরপর চরম তাপপ্রবাহের মধ্যে খালি পায়ে ভাঙা চেয়ার ধরে হেঁটে হেঁটেই বাড়ি থেকে ব্যাঙ্কে যেতে হয় ৭০ বছর বয়সি শীর্ণকায় বৃদ্ধাকে। ওড়িশার নবরাংপুর জেলার ঝারিগাঁও ব্লকে গত সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে। সমাজমাধ্যমে ইতিমধ্যেই সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে।
Can see the manager of the @TheOfficialSBI responding but yet wish @DFS_India and @TheOfficialSBI take cognisance of this and act humanely. Are they no bank Mitra? @FinMinIndia https://t.co/a9MdVizHim
— Nirmala Sitharaman (@nsitharaman) April 20, 2023
ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে অর্থমন্ত্রী এসবিআইকে ট্যাগ করে প্রশ্ন করেন, এখানে কি কোনও ব্যাঙ্ক বন্ধু নেই? খোদ অর্থমন্ত্রীর এই প্রশ্নে উত্তর দিয়েছে ব্যাঙ্ক। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভিডিয়োটি দেখে তারাও দুঃখিত। এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেই কারণে আগামী মাস থেকে প্রবীণ ব্যক্তিদের পেনশন বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
SBI -এর ওই শাখার আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃদ্ধার পায়ের বুড়ো আঙুল ভেঙে যাওয়ায় আঙুলের মিল হচ্ছে না। ফলে তিনি ঠিক মতো হাঁটতেও পারছিলেন না। তবে তা সত্ত্বেও পেনশনের জন্য প্রখর রোদে খালি পায়ে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে ব্যাঙ্কে যান। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক থেকে পেনশন হিসেবে মাত্র 3000 টাকা পান।
আরও পড়ুন: 2002 Gujarat riots: বিজেপির মায়া কোডনানি, বাবু বজরঙ্গি-সহ বেকসুর খালাস ৬০ জনেরও বেশি