People from different states should speak in hindi not english, says amit shah

মাতৃভাষা বা স্থানীয় গুরুত্বহীন, ফের একবার হিন্দির পক্ষেই ব্যাটিং করলেন শাহ

নানা ভাষাভাষির দেশ ভারত। রয়েছে একাধিক সরকারি ভাষা। এই বৈচিত্রই দেশের ঐক্যের ভিত্তি বলে মনে করা হয়। কিন্তু, কেন্দ্রের শাসককূল ‘এক দেশ-এক ভাষা’র পক্ষে। হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা করতে আগেই সোচ্চার ছিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি ছিল যে, দেশে এমন একটি সর্বজনীন ভাষার প্রয়োজন যা আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের পরিচিতির ছাপ রেখে যায়। শাহ মনে করেন, হিন্দির ক্ষমতা আছে দেশকে এক সূত্রে ঐক্যবদ্ধ করার। যার জোরাল প্রতিবাদ হয়েছিল। কিন্তু, নিজের দাবি থেকে সরেননি প্রধানমন্ত্রী মোদীর ডেপুটি। উল্টে, বৃহস্পতিবার ফের একবার হিন্দির পক্ষেই ব্যাটিং করলেন শাহ। তাঁর পরামর্শ, ‘দেশের বিভিন্ন প্রদেশের ভিন্ন ভাষাভাষির মানুষের ইংরেজিতে নয়, উচিত হিন্দিতে কথা বলা।’

সরকারি ভাষা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার ছিল কমিটির ৩৭তম বৈঠক। সেখানে অমিত শাহ বলেন, ‘সরকারি ভাষাকে দেশের ঐক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত করার সময় এসেছে। বিভিন্ন রাজ্যের লোকেদের একে অপরের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলা উচিত, ইংরেজিতে নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে সরকার পরিচালনার মাধ্যম হবে সরকারি ভাষা, এবং এটি অবশ্যই হিন্দির গুরুত্ব বাড়িয়ে দেবে। এখন সময় এসেছে সরকারি ভাষাকে দেশের ঐক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম করে তোলা। যখন বিভিন্ন রাজ্যের মানুষরা, যাঁরা অন্য ভাষায় কথা বলেন, তাঁরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন হিন্দিতে ।’

আরও পড়ুন: Hyderabad: গাঁজায় আসক্ত ১৬ বছরের ছেলে, মুখে লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে ‘শাসন’ মায়ের

অমিত শাহ স্পষ্ট করেন, হিন্দিকে ইংরেজির বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করা উচিত, স্থানীয় ভাষা নয়। অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা থেকে শব্দ গ্রহণ করে হিন্দিকে নমনীয় না করে তুললে তার প্রসার হবে না।

অমিত শাহ কমিটির সদস্যদের জানিয়েছেন যে, মন্ত্রিসভার ৭০ শতাংশ কাজ এখন হিন্দিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে। উত্তর-পূর্বের আটটি রাজ্যে ২২ হাজার হিন্দি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। এবং ওই অঞ্চলের নয়’টি উপজাতি সম্প্রদায় তাদের উপভাষার লিপিগুলিকে দেবনাগরীতে রূপান্তরিত করেছে। এই সমস্ত রাজ্য দশম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি বাধ্যতামূলক করতে মত দিয়েছে বলেও তিনি দাবি করেছেন।

২০১৯ সালে হিন্দি দিবস উপলক্ষে ভাষাণে অনিত শাহ বলেছিলেন যে, ‘ভারত নানা ভাষার দেশ, এবং প্রতিটি ভাষারই নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে এমন একটি সর্বজনীন ভাষার প্রয়োজন যা ভারতের পরিচিতি হয়ে উঠবে। আজ যদি এমন একটিও ভাষা থেকে থাকে, যা এক সূত্রে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে, তা হলো হিন্দি, যা কিনা ভারতে সবচেয়ে বেশি বলা এবং বোঝা হয়।’

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই দাবির প্রতিবাদকরেছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সিপিআইএমের তরফে শাহর দাবিকে, ভারতীয় বৈচিত্রের মূলে আঘাত বলে জানানো হয়। কংগ্রেস নেতা রাজীব গৌড়া বিজেপিকে ভারতীয় সংবিধানের ২৯ ধারা স্মরণ করিয়েছিলেন, জানিয়েছিলেন সংবিধান দেশের বহু ভাষাকে সম্মান জানিয়েছে। একপর অবশ্য সেভাবে হিন্দির আরোপ নিয়ে শাহকে মাতামাতি করতে দেখা যায়নি। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, হিন্দি অন্য কোনও আঞ্চলিক ভাষার সাথে প্রতিযোগিতা করছে না, কেবল পরিপূরক হওয়ার চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন: Yogi Adityanath: যোগীর টুইটার হ্যাক, গরু -বাঁদরের ছবি গুঁজে দিল হ্যাকাররা