মিটেছে ভোট৷ ফলে ফের আরও বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের দাম৷ হাতের কাছে অজুহাত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও।
উত্তরপ্রদেশসহ ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের রাজনৈতিক কারণে গত চার মাস ধরে তেলের দাম বাড়াতে পারে কেন্দ্রও। বুথ ফেরত সমীক্ষায় লখনউয়ের তখত-এ-তউসে ফের বসতে চলেছে বিজেপি।অখিলেশের পার্টি কিংবা কংগ্রেস মোটামুটি হিসেবের খাতার পিছনের পাতায় ঠাই নিতে চলেছে। ফলে বিজেপি এখন ফের আগের প্রতাপে দেখা দিতে চলেছে। সে কারণে রাজনৈতিক ও অর্থ বিশেষজ্ঞদের মতে, এদেশের তেলের দাম (Petrol-Diesel Price India)বাড়া কেবল মাত্র সময়ের অপেক্ষা। এবং সেই সেই বৃদ্ধির হার ১৫-২০ টাকাও হতে পারে।
আরও পড়ুন: Mahashivratri: বিখ্যাত ‘বাবাধাম’-এ দুর্ঘটনার কবলে ভক্তরা, পদপৃষ্ট অসংখ্য ভক্ত
পেট্রোল-ডিজেলের এই মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কায় বহু পাম্পেই ভিড় জমেছে। দাম বাড়ার আগে অনেকের তেল ভরে নেওয়ার জন্য লম্বা লাইন দিচ্ছে। ভোট ব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে গত ৪ মাস ধরে তেলের দাম না বাড়ায় তেল কোম্পানিগুলো ক্ষতির কড়ি গুনছিল। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারেও ব্যারেন প্রতি তেলের দাম ১৪০ মার্কিন ডলার ছুঁয়েছে। ১৩ বছরের মধ্যে যা সব থেকে বেশি। এর সঙ্গে ভারতীয় টাকার ব্যাপক পতন ঘটেছে সোমবার। ডলারের দাম ৭৭.০১ টাকায় পৌঁছেছে। ভারতে তেলের চাহিদা ৮৫ শতাংশই আসে বিদেশ থেকে। এই সাঁড়াশি আক্রমণে এই বছরেই ৬০ শতাংশ দাম বাড়িয়ে দিয়েছে পেট্রোল-ডিজেল। টাকার পতনে দেশ আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই অবস্থায় শিল্প-বাণিজ্য মহলের অনুমান নিদেনপক্ষে তেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়াতে হবে।
পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলির আন্তর্জাতিক সংস্থার(OPEC)মহাসচিব মহম্মদ বারকিন্দো বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের বাজারে তেলের দাম বাড়ানো ছাড়া কোনও উপায় নেই। কোনও নিয়ন্ত্রণও নেই। রাশিয়ার সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় এই মুহূর্তে বিশ্বের সামনে কোনও বিকল্প নেই। আমাদের সামনে এই ঘাটতি পূরণেরও অবস্থা নেই। সব মিলিয়ে তেলের দাম বাড়া অনিবার্য হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: পাত্রীর গায়ের রং লেখা থাকলে প্রকাশিত হবে না বিয়ের বিজ্ঞাপন, নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত এই পত্রিকার