PF Interest Rate: Centre Clears 8.15% Interest Rate On Employees Provident Fund For 2022-23

PF Interest Rate: ইপিএফে ০.০৫ শতাংশ সুদ বাড়াল মোদী সরকার! ভিক্ষা নাকি? উঠছে প্রশ্ন

মাগ্গিগণ্ডার বাজারে স্বস্তি পেলেন না কর্মচারি ভবিষ্য নিধি তথা ইপিএফের গ্রাহকরা। ২০২২১-২৩ অর্থ বর্ষে সুদের হার পূর্বতন আর্থিক বছরের চেয়ে নামমাত্র বাড়ানো হয়েছে। সোমবার অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইপিএফের গ্রাহকরা ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষের জন্য ৮.১৫ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন শ্রমিক সংগঠনগুলির নেতারা। কটাক্ষের সুরে তাঁরা বলেছেন, ‘এই ভিক্ষা দেওয়ার তো কোনও প্রয়োজন ছিল না।’

গত মার্চ মাসেই নয়া অর্থবর্ষের সুদ আগেই ঘোষণা করেছিল কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড সংস্থা। সোমবার সেই ঘোষণায় সম্মতি জানাল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। একটা সময় সুদ হার ছিল ৮.৫ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা কমিয়ে ৮.১ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ০.০৫ শতাংশ বৃদ্ধিতে সম্মত হল কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে সুদের হার পৌঁছাল ৮.১৫ শতাংশে।

আরও পড়ুন: Manipur Violence: ‘এই বর্বরতা মানবতার লজ্জা’ মণিপুরকাণ্ডে বিচারের দাবি মমতার

অবসর জীবন যাতে কিছুটা নিশ্চিন্তে কাটানোর জন্য কর্মচারিরা বরাবরই ইপিএফের উপরে নির্ভরশীল। দেশজুড়ে বর্তমানে প্রায় সাড়ে কোটি মানুষ ইপিএফের আওতাধীন। কংগ্রেসি জমানায় জমা টাকার উপরে বরাবরই সোয়া আট শতাংশের বেশি সুদ পেতেন কর্মচারিরা। কিন্তু দিল্লিতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পরেই ইপিএফের সুদের হার হ্রাস পেতে থাকে। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে যেখানে ইপিএফে ৮.৮ শতাংশ সুদ মিলত তা গত ২০২১-২২ অর্থ বর্ষে কমে দাঁড়ায় ৮.১০ শতাংশে। অর্থা‍ৎ .৭০ শতাংশ কমানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পিএফ-এ চাকরিজীবীদের গচ্ছিত টাকা অন্য জায়গায় বিনিয়োগ করা হয়। সেখান থেকে যে লাভ হয়, তার থেকেই সুদ বাবদ টাকা দেওয়া হয় কর্মচারীদের। বর্তমানে, ইপিএফও-র মাধ্যমে ৮৫ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয় সরকারি সিকিউরিটিজ ও বন্ডে। বাকি ১৫ শতাংশ ইটিএফ-এ বিনিয়োগ করা হয়। ঋণ ও ইক্যুইটি থেকে উপার্জনের ভিত্তিতে এই  পিএফের সুদ নির্ধারণ করা হয়।

আরও পড়ুন: Indian woman: এবার প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে গেলেন ভারতীয় অঞ্জু!