“সরকার গঠনের এক ঘণ্টার মধ্যেই বিহারে মদের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে”! বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিহারবাসীর উদ্দেশে এমনই ঘোষণা জন সূরজ পার্টির প্রধান প্রশান্ত কিশোরের।
ভোটকুশলীর দায়িত্ব দূরে সরিয়ে রাজনীতির ময়দানে পা দিয়েছেন প্রশান্ত। ইতিমধ্যে তৈরি করেছেন জনসূরজ পার্টি। সম্প্রতি সাংবাদিকরা প্রশান্তকে প্রশ্ন করেন, ক্ষমতায় এলে প্রথমেই তাঁর সরকার কী পরিবর্তন আনতে পারে? উত্তরে জনসূরজ পার্টির প্রধান পরিষ্কার জানান, “সরকার গঠনের এক ঘণ্টার মধ্যে বিহারে মদের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে”।
আগামী ২ অক্টোবর প্রশান্তের দল পথ চলা শুরু করবে। ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশের দলকে ধরাশায়ী করে ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে আশাবাদী প্রশান্ত। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘নীতীশ এবং আগে লালুপ্রসাদ বিহারের সর্বনাশের জন্য দায়ী।’’ একই সঙ্গে কংগ্রেস এবং বিজেপিকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রশান্ত।
অতীতেও বিহারের মদ-নীতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন প্রশান্ত। মদ নিষেধাজ্ঞা বিহারে ‘অকার্যকর’ বলেও সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর দাবি, এই নীতি অবৈধ ভাবে বাড়িতে বাড়িতে মদ পৌঁছনোর প্রবণতার দিকে ঠেলে দেবে বিহারকে। এমনকি, মদ নিষেধাজ্ঞার কারণে রাজ্য সরকার প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেও দাবি প্রশান্তের। তাঁর অভিযোগ, অবৈধ মদের ব্যবসা থেকে বেশ কয়েক জন আমলা লাভবান হচ্ছেন ।
পিকে মনে করিয়ে দেন তিনি যোগ্যতার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তাই মদে নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করতে তিনি এতটুকু ভয় পান না। সূত্রের খবর, রাজ্যের একাধিক প্রান্তে প্রচারে গিয়ে মদের উপর নিষেধাজ্ঞা তোলার বিষয়েই সওয়াল করছেন প্রশান্ত। পাশাপাশি তাঁর দাবি, বিহারে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন জনসূরজ পার্টির সদস্যই।