মহিলার বেশে থাকা একজন পুরুষকে বিয়ে করেছেন তিনি! ভারতীয় সংবিধানের ৪২০ ধারায় প্রতারণার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগ জানানোর সময় ওই মহিলার মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তিনি। প্রাথমিকভাবে সুপ্রিম কোর্ট সাড়া না দিলেও শুক্রবার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কউল ও এম এম সুন্দ্রেশের বেঞ্চে একটি ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দেন ওই ব্যক্তি। সেই রিপোর্টের দাবি, ওই ব্যক্তির স্ত্রীর একটি পুরুষাঙ্গ রয়েছে। এবং রয়েছে অসম্পূর্ণ যোনিচ্ছদ। সাধারণত এই ধরনের ত্রুটি জন্মগত ত্রুটি।
এরপর শুনানিতে ওই ব্যক্তির আইনজীবী বলেন, ”আমার স্ত্রী একজন পুরুষ। এটা নিশ্চিত ভাবেই প্রতারণা। অনুগ্রহ করে মেডিক্যাল রিপোর্টটি দেখুন। এটা কোনও জন্মগত ত্রুটির বিষয় নয়। এই মামলায় আমার মক্কেল প্রতারিত হয়েছেন একজন পুরুষকে বিয়ে করে। ওই মহিলা নিজের যৌনাঙ্গ সম্পর্কে ভাল করেই জানতেন।”
আরও পড়ুন: Punjab Election: পঞ্জাবে কেজরির ‘মান’রক্ষা! হারলেন অমরিন্দরও, উড়ে গেলেন সিধু–চান্নিরা
শুনানির পরে আদালত প্রশ্ন তোলে, ”কেবল অসম্পূর্ণ যোনিচ্ছদ রয়েছে বলেই ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে মহিলা বলতে চাইছেন না কেন? মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়েছে তাঁর ডিম্বাশয় একদম স্বাভাবিক।”
এর উত্তরে আইনজীবী বলেন, ”ওই মহিলার কেবলই অসম্পূর্ণ যোনিচ্ছদ রয়েছে তা নয়। ওঁর একটি পুরুষাঙ্গ রয়েছে। রিপোর্টে সেকথাও বলা হয়েছে। যাঁর পুরুষাঙ্গ রয়েছে, তাঁকে মহিলা হবে কী করে?” এরপরই বিচারপতিদের বেঞ্চ আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, তাঁর মক্কেল ঠিক কী চাইছেন। এর জবাবে ওই আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেল চাইছেন দায়ের করা এফআইআরের যথাযথ বিচার হোক। এবং কেবল তাঁর স্ত্রীই নন, মহিলার বাবার বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ করা হোক।
বেঞ্চের তরফে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে মধ্যপ্রদেশের পুলিশ, ওই মহিলা ও তাঁর বাবার কাছে উত্তর চাওয়া হয়েছে। এদিকে ওই ব্যক্তির স্ত্রীর পালটা অভিযোগ, যৌতুকের জন্য তাঁর সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করেছেন তাঁর স্বামী।
আরও পড়ুন: লখিমপুর খেরির পুনরাবৃত্তি ওড়িশায়, ‘রগচটা’ BJD বিধায়কের গাড়ির ধাক্কায় পিষ্ট অন্তত ২৪