দেশে করোনা অতিমারি ভয়াল রূপ ধরতে ২০২০ সালের মার্চ মাসে গঠন করা হয়েছিল পিএম কেয়ার্স ফান্ড। নানা মহল থেকে অনুদান এবং বেতন থেকে পাওয়া টাকায় আজ ফুলে ফেঁপে উঠেছে সেই তহবিল। ২০২০-২১ অর্থবর্ষেই অন্তত তিন গুণ হয়ে এখন ১০ হাজার কটি টাকয় দাঁড়িয়েছে তা। অথচ খরচ হয়েছে মাত্র ৩৯৭৬ কোটি, জানাচ্ছে পিএম কেয়ার্সের অডিট।
এক আরটিআইয়ের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত PM CARES তহবিলে প্রায় ১০ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। এর ৬৪ শতাংশ জমা পড়েছে ২০২০ সালের ২৭ মার্চের পর। এই তহবিল থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা খরচ করেছে সরকার। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে ভ্যাকসিন কিনতে। ভেন্টিলেটর কিনতে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। এখনও কেন্দ্রের হাতে রয়েছে ৭ হাজার ১৪ কোটি টাকা।
বিরোধীদের বক্তব্য, PM CARES তহবিলের যে হিসাব সরকার দিচ্ছে সেটা স্বচ্ছ নয়। তাছাড়া গোটা দেশ যখন করোনার দাপটে গভীর সংকটে, মানুষের যখন প্রয়োজন ছিল, তখনও PM CARES-এর ৬৪ শতাংশ টাকা কেন খরচ করা হল না? ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের দেওয়া এই হিসাবকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: UP Elections 2022: ৩ মার্চ মোদির বারাণসীতে যাবেন, অখিলেশকে পাশে বসিয়ে ঘোষণা মমতার
PM Lies. pic.twitter.com/wanjMiCGnN
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) February 8, 2022
অতিমারির মোকাবিলায় এই তহবিল তৈরি হয়েছিল।দেশের বিপর্যয় মোকবিলা তহবিল থাকা সত্ত্বেও এই তহবিল তৈরি হওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়। প্রধানমন্ত্রীর পদাধিকার প্রয়োগ করে ওই তহবিলের চেয়াপার্সন হন নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও অছি সদস্য হিসেবে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
সরকারি, রাষ্ট্রায়াত্ত এবং ব্যাঙ্কের কর্মীদের বেতন থেকে টাকা কেটে জমা করা হয়েছিল পিএম কেয়ার্স ফান্ডে। এছাড়াও নানা মহল থেকে আসে অনুদান। যে ইস্যুতে এই তহবিল নিয়ে বিতর্ক হয়েছে, তা হল এর কোনও হিসাব দেখানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী যদি এই তহবিলের চেয়ারপার্সন হয়ে থাকেন তবে তা সরকারি এবং এর হিসেব জানাতে বাধ্য কেন্দ্র, দাবি ছিল কংগ্রেসের।
আরও পড়ুন: মাথায় আঘাত, চড়! আয়ার অত্যাচারে ICU-তে ভরতি আট মাসের শিশু