প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার লাওসে দুই দিনের সফরে পৌঁছেছেন, যেখানে তিনি আসিয়ান-ভারত ও পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হল উভয় গোষ্ঠীর দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে আরও গভীর করা।
পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হবে যেখানে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
তিনি আরও বলেন, ভারত ও লাওসের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত সম্পর্ক রয়েছে, যা বৌদ্ধ ধর্ম ও রামায়ণের ঐতিহ্য দ্বারা সমৃদ্ধ। “আমি লাওসের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, যা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে,” মোদি বলেন।
এটি ভারতের “অ্যাক্ট ইস্ট” নীতির দশকপূর্তি উদযাপনের বিশেষ বছর বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই নীতি ভারতের জন্য উল্লেখযোগ্য উপকার বয়ে এনেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। সফরের সময় বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ও অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে আসিয়ান গঠন করা হয়। আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলি হল ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও ব্রুনাই দারুসসালাম।
পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে আসিয়ানের ১০টি দেশ এবং অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র অংশগ্রহণ করে। তিমুর-লেস্তে এখানে পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে।
লাওসের প্রধানমন্ত্রী সোনেক্সাই সিফান্ডনের আমন্ত্রণে মোদি লাওসে সফর করছেন, যেখানে লাওস বর্তমানে আসিয়ানের সভাপতিত্ব করছে।
এই সফরে মোদি ২১তম আসিয়ান-ভারত শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৯তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। সফরের আগে মোদি এক বিবৃতিতে জানান, ভারত তার অ্যাক্ট ইস্ট নীতির দশকপূর্তি উদযাপন করছে এবং তিনি আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ভারত-আসিয়ান সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারিত্বের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন।