বুধবার নরেন্দ্র মোদী বাজেট অধিবেশনের সূচনা করলেন রাম নাম করে। সংসদে অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তৃতা নয়া নয়। তবে মোদী সাধারণত তাঁর বক্তৃতা শুরু করেন দেশবাসীকে ‘মিত্র’ বা ‘সাথী’ বা ‘পরিবারজন’ বলে সম্বোধন করে। শেষ করেন ধন্যবাদ জানিয়ে। কিন্তু বুধবার মোদী দু’ বারই দেশবাসীর উদ্দেশে হাত জোড় করে বললেন, ‘রাম রাম’।
মোদী কি জেনে বুঝেই সৌজন্যের সুর বদল করলেন? বিরোধীরা রামমন্দির নিয়ে তাঁকে যতই (ধর্ম থেকে শুরু করে নারীবিদ্বেষ) কটাক্ষ করুন, তিনি যে তার পরোয়া করছেন না! এবং আগামী দিনে বিজেপির ভোটের প্রচার যেই হিন্দুত্বতেই এগোবে সে কথা স্পষ্ট করে দিলেন মোদী।পাশাপাশি খুব সুক্ষ্মভাবে তিনি বলে দিলেন , ক্ষমতায় ফিরে পূর্ণ বাজেট বাজেট পেশ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের স্বভাবই হল সংসদে হইহট্টগোল করা তারা এই শেষ অধিবেশনে নিজের আচরণের কথা ভেবে দেখবেন। তাদের আত্মসমীক্ষা করা উচিত। নিজের লোকসভা এলাকায় তাঁরা নিজেদের কাজের খোঁজ নিন। এলাকার মানুষ বলতে পারবে না তারা কী করেছেন। তাদের চেনেনও না অনেকে। কিন্তু বিরোধিতার স্বর যতই তীব্র হোক যিনি সংসদে ভালা পরামর্শ দিয়েছেন তাঁকে আজও মানুষ মনে রাখে। আাগামিদিনেও সংসদের অধিবেশন যারা দেখবে তাদের কাছে ইতিহাস হয়ে থাকবেন তারা। কিন্তু যারা শুধুমাত্র নেতিবাচক কথা বলেছেন, হইহট্টগোল করেছেন তাদের হয়তো খুব কম মানুষই মনে রাখবেন।
মোদির এই নীতিমূলক কথা শুনে অনেকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর এই গুনটি অসাধারণ। বিজেপি যে নানা ছোটোয়া নাতায় সংসদ অচল করে রাখতো সে সব তিনি বেমালুম ভুলে গিয়েছেন। এখন এটি বড় সমস্যার কোটা তোলা হলেও বিরোধী সংসদের সাসপেন্ড করে গণতন্ত্রের মাতৃবন্দনায় মেতে ওঠেন তিনি।