ভারতে করোনা সংক্রমণের প্রথম ২০ মাসের মধ্যে ১৯ লাখ শিশু অনাথ হয়েছে, ল্যানসেটের একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছিল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার এই শিশুদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে কোনওভাবেই যাতে প্রতিকূলতার কারণ না হয়ে ওঠে অর্থকষ্ট, সেজন্য পদক্ষেপ করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার BJP-র ন্যাশানাল জেনারেল সেক্রেটারি অরুণ সিং জানিয়েছেন, করোনা মহামারীর জন্য যে শিশুরা অনাথ হয়েছে তাদের আর্থিক সাহায্য করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন, “৩০ মে এই শিশুদের জন্য একটি স্কলারশিপ স্কিমের ঘোষণা করবেন মোদী।”
২০২১ সালের ২৯ মে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন যে সমস্ত শিশুরা করোনা অতিমারীর কারণে তাদের বাবা ও মা, দুইজনকেই হারিয়েছে, তাদের সাহায্য করবে কেন্দ্র। এই স্কিমের উদ্দেশ্য হল করোনা অতিমারীতে বাবা-মাকে হারিয়েছে এমন শিশুদের সঠিক পদ্ধতিতে সর্বাধিক যত্ন এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্য বীমার মাধ্যমে তাদের সুস্থতার খেয়াল রাখা, শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতাশালী করে তোলা এবং তাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ অস্তিত্বের জন্য তৈরি করা। এই সমস্ত শিশুর ২৩ বছর বয়স পর্যন্ত এই আর্থিক সহায়তা তারা পাবে।
আরও পড়ুন: Qutub Minar Row: কুতুব মিনার পূজা-পাঠের জায়গা নয়, দিল্লি আদালতে জানাল ASI
‘পিএম কেয়ার ফর চিলড্রেন স্কিম’ অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের দেখভাল নিশ্চিত করে। এই স্কিমের মাধ্যমে ১৮ বছর বয়স থেকে মাসিক বৃত্তি দেওয়া এবং ২৩ বছর বয়সে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেয়।
আর কী কী সুবিধা রয়েছে এই স্কিমে?
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন এই স্কিমের অধীনে কেউ যদি প্রফেশনাল কোর্স বা উচ্চশিক্ষার জন্য এডুকেশন লোনও নিতে চায় তাও দেওয়া হবে ‘পিএম কেয়ার্স’ থেকে। প্রত্যেক মাসে তাদের ৪০০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন যাতে তারা দৈনন্দিন খরচ চালাতে পারেন।
এই স্কিমের অধীনে যে স্বাস্থ্য কার্ড শিশুদের দেওয়া হলে তাতে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে পরিষেবা পেতে পারে তারা।
শিশুদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য সরকার একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করেছে। পোর্টালটি একটি একক-উইন্ডো সিস্টেম যার মাধ্যমে শিশুদের নাম অনুমোদন প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য সমস্ত কাজ সহজে করা যায়।
আরও পড়ুন: Punjab: নিরাপত্তা প্রত্যাহারের পরদিনই গুলিতে ঝাঁঝরা, মৃত্যু পঞ্জাবী গায়ক তথা কংগ্রেস নেতার