আমেরিকার উদ্দেশে পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার নয়াদিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে রওনা দেন তিনি। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে তাঁর এই ঐতিহাসিক সফরে চিন ও রাশিয়া-সহ গোটা বিশ্বের নজর রয়েছে।
তিন দিনের সফরে আমেরিকায় মোদীর ঠাসা কর্মসূচি। সেখানে তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত শীর্ষস্থানীয় কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করবেন। বুধবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের কর্মসূচিতেও অংশ নেবেন তিনি। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২২ জুন মোদীর সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠক। যে বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে আন্তর্জাতিক মহল। বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে মোদীর সঙ্গে এই প্রথম বার দ্বিপাক্ষিক ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা হতে চলেছে।
২৩ জুন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের যৌথ আতিথেয়তায় মধ্যাহ্নভোজে শামিল হবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ওইদিনই মাস্টারকার্ড ও কোকাকোলার মতো শীর্ষ ২০টি মার্কিন বহুজাতিক সংস্থার সিইওদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা ও ভারতে বিদেশি লগ্নি টানতেই নমোর এই উদ্যোগ।
হোয়াইট হাউসে আলোচনার টেবিলে মোদী এবং বাইডেন কী কী বিষয় তুলে ধরতে চলেছেন, তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিদেশসচিব বিনয়মোহন কোয়াত্রা। তিনি জানান, এই বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয় হতে চলেছে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি এবং বিকাশে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা। পাশাপাশি শিল্প ও বাণিজ্যে সহযোগিতা বাড়ানো নিয়েও কথা বলবেন মোদী-বাইডেন। আলোচনায় উঠে আসবে টেলিকম, মহাকাশ গবেষণায় বিনিয়োগ সংক্রান্ত কথাবার্তাও।