২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির পতন অনিবার্য। আর তাই পদ্ম শিবিরের একমাত্র মুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই নিশানা করতে শুরু করেছেন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের নেতারা। কটাক্ষ করতে গিয়ে ইন্ডিয়া জোটকে জঙ্গি গোষ্ঠী ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে তুলনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এমনকী লোকসভা ভোটের পরে ইন্ডিয়া জোটের অনেকেই দেশ ছেড়ে যাবেন বলে দাবিও করেছেন তিনি। এবার মোদির কটাক্ষের জবাব দিতে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবও। তাঁর দাবি, ‘লোকসভা ভোটে হারার পরেই দেশ ছেড়ে পালাবেন মোদি। ঘাঁটি গাড়বেন বিদেশে।’
রবিবার দীর্ঘদিন বাদে বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবের ডাকা এক সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন প্রবীণ রাজনেতা তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। সমাবেশে তিনি বলেন, ‘মোদিজিকে কুইট ইন্ডিয়া করতে হবে। আগামী লোকসভা ভোটে হার নিশ্চিত, তা বুঝতে পেরে দেশে-দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আসলে লোকসভা ভোটে হারার পরে কোথায় গিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন, তা দেখে নিচ্ছেন। কোথায় গিয়ে শান্তিতে পিৎজা, মোমো, চাউমিন দিয়ে ভুরিভোজ সারতে পারবেন তা যাচাই করছেন।’
লালুর এমন কথায সভায় হাসির রোল ওঠে। ২৬ বিরোধী দলের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা ‘ইন্ডিয়া’ অটুট থাকবে দাবি করে আরজেডি সুপ্রিমো বলেন, ‘চক্রান্ত চালিয়ে ২৬ দলের মহাজোট ভাঙা যাবে না। বিজেপিকে না হারানো পর্যন্ত মহাজোট অটুট থাকবে।’
বিহারে এবার ২০১৫ সালের মতই সমীকরণ তৈরি হয়েছে। ওই ভোটে লালু-নীতীশ ও কংগ্রেসের জোট হয়েছিল। সেই জোটের সমীকরণ এতটাই মজবুত ছিল যে তারা দুই তৃতীয়াংশ আসন জিতে নিয়েছিল। বিহার থেকে লোকসভায় বিজেপির ভাল সংখ্যায় আসন ছিল। গেরুয়া শিবিরে উদ্বেগ হল, লালু-নীতীশের জোটের পরিস্থিতিতে বিজেপি বিহারে প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হতে পারে। শুধু বিহার নয়, এর আঁচ পড়তে পারে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও।