বাংলাদেশে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণে উদ্বিগ্ন ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে উঠে এল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। তাঁর ভাষণে উঠে আসে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর আক্রমণের প্রসঙ্গও। বাংলাদেশে দ্রুত শান্তি এবং খুশির পরিবেশ ফিরে আসবে বলেও আশা করেন তিনি।
প্রতিবেশি দেশ হিসেবে আমরা বুঝতে পারছি বাংলাদেশে কী হচ্ছে। সেখানের পরিস্থিতি নিয়ে আমিও উদ্বিগ্ন। দেশের ১৪০ কোটি মানুষ চাইছেন বাংলাদেশে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুরা নিরাপদ থাকুক। আমরা চাই আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলি শান্তি এবং সুখের পথে চলুক।’ অনেকে বলেছেন তিনি কি মুসলিমদের বাইরে রেখে কাউন্টিং করেছেন নাকি ভিতরে রেখে। লোকসভা ভোটের সময় তিনি নিয়ম কররে ডগের মুসলিমদের অপমান করেছেন। তার স্পষ্ট ফুটেজ রয়েছে।
এদিন মোদী জানান, ভারত বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী হয়েও থাকবে । প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, তারা মানবজাতির কল্যাণের কথা ভাবেন। সেই কারণে ভারত সবসময় চায় তাদের প্রতিবেশি দেশগুলি সমৃদ্ধি ও শান্তির পথে হাঁটুক। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিতে থাকার এবং তা প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার এবং আক্রমণ চলছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সেখানের হিন্দুদের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। হিন্দুরাও সেই দেশের সন্তান এবং তাদেরও সমান অধিকার আছে বলে জানান তিনি। এরই সঙ্গে হিন্দু এবং অন্যদের নিশ্চিত থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ইউনূস। কিন্তু তারপরেও তাদের উদ্বেগ কাটছে না।
অনেকে বলছেন, ইউনুস যা করেছেন, মোদীজি কি তা কোনোদিন করতে পেরেছেন, আজ তিনি ও তার দল দেশের সংখ্যালগু মুসলিম ও খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণ দেন। এখনো তিনি মনিপুর যাননি, গুজরাটের ওই গণহত্যার জন্য একটিবারের জন্য ক্ষমা চাওয়া তো দূরের কথা দুঃখপ্রকাশ পর্যন্ত করেননি। আজ তিনি বংলাদেশের হিন্দুদের জন্য কেঁদে আকুল হয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ বলেছেন, মনে রাখবেন সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু আপেক্ষিক শব্দ। হিন্দুরা ভারতে সংখ্যাগুরু, কিন্তু পাকিস্তানে কিংবা বাংলাদেশে তারা সংখ্যালঘু। ঠিক তেমনই খ্রিস্টান ও মুসলিমরা ভারতে সংখ্যালঘু। এই পরিচয় পাকা নয়। তাই অনিক তাদের দায়বদ্ধতার কথা মনে করানোর আগে তাকাতে হবে নিজের দিকে। মন্তব্য নেটিজেন সহ বহু সাধারণ মানুষের।