খোলাখুলিই সংবিধানের মূল কাঠামোয় পরিবর্তন করার পক্ষে সওয়াল করেন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ তথা স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল, তাঁর এই মতামত কি সরকারের চিন্তাভাবনার প্রতিফলন? প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা নতুন সংবিধানের পক্ষে সওয়াল করছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদিও কি সেটারই পক্ষে? এ নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ জানিয়ে দেয়, বিবেক দেবরায়ের মতামত তাঁদের কমিটির মতামত নয়। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান।
বিতর্কের জেরে দু’দিন পর সাফাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায় (Bibek Debroy)। তিনি দাবি করলেন, নতুন সংবিধান নিয়ে যে প্রবন্ধ তিনি লিখেছেন সেটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত।
স্বাধীনতা দিবসে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সংবিধান সংক্রান্ত একটি মতামত লিখেছিলেন বিবেক দেবরায়। সেখানে তিনি দাবি করেন,”ভারতের নাগরিকদের এখন নতুন সংবিধানের প্রয়োজনীয়তা আছে। আমরা ১৯৫০ সালে যেমন ছিলাম, এখন আর তেমন নেই। অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। অথচ সেই ১৯৭৩ থেকে আমাদের বলা হচ্ছে সংবিধানের মূল কাঠামো পরিবর্তন করা যাবে না।”বিবেক দেবরায় নিজেও জানিয়েছেন, তিনি যে প্রতিবেদনটি লিখেছিলেন সেটা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত মত। এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ বা সরকারের মতামতের কোনও মিল নেই।
দেবরায় ১৯৫৫ সালের ২৫ জানুয়ারী, মেঘালয়ের শিলং-এ জন্মগ্রহণ করেন।তার বাবা এবং তার দাদু ১৯৪৮ সালের শেষের দিকে তৎকালীন পূর্ববঙ্গের সিলেট থেকে ভারতে এসেছিলেন। বাবা যোগ দিয়েছিলনে ভারতীয় অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস সার্ভিসে ।
বিবেক দেবরায় নরেন্দ্রপুরের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ে তার স্কুল শিক্ষা শুরু করেন । এরপর তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং দিল্লি স্কুল অফ ইকোনমিক্সে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে, ডেবরয় ট্রিনিটি কলেজের স্কলারশিপে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, যেখানে তিনি বিখ্যাত ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ ফ্রাঙ্ক হ্যানের সাথে দেখা করেন ।দেবররায়, হ্যানের তত্ত্বাবধানে, একটি সাধারণ ভারসাম্য কাঠামোতে তথ্যকে একীভূত করার জন্য কাজ করেছিলেন। অতীতে, দেবরয় কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ, গোখলে ইনস্টিটিউট অফ পলিটিক্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ফরেন ট্রেড এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ অ্যাপ্লাইড ইকোনমিক রিসার্চে অধ্যাপনা করেছেন।