প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হোটেল বিল বাকি ৮০.৬ লক্ষ টাকা। এক বছরের বেশি সময় ধরে বকেয়া সেই টাকা আদায়ে মাইসুরুর (সাবেক মহিশূর) তারকাখচিত হোটেল ব়্যাডিসন ব্লু প্লাজা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
গত বছরের এপ্রিল মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত সেখানে ছিলেন মোদি (Narendra Modi)। প্রজেক্ট টাইগার ইভেন্টের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মাইসুরুতে গিয়েছিলেন। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি এবং পরিবেশমন্ত্রক। জানা গিয়েছে, খুব কম সময়ের নোটিসেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। গোটা অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য কর্নাটকের বনদপ্তরকে নির্দেশ দেয় দুই সংস্থা। আশ্বাস দেওয়া হয়, অনুষ্ঠানের যাবতীয় খরচ বহন করবে কেন্দ্র।
অনুষ্ঠানের আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছিল ৩ কোটি টাকা।কিন্তু, অতি দ্রুত আয়োজনপর্ব সমাধা করতে গিয়ে সেই খরচ ৬.৩৩ কোটিতে পৌঁছয়। এ পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে রাজ্য বন দফতরকে ৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি রয়েছে ৩.৩৩ কোটি টাকা। অনুষ্ঠান হয়ে গেলে একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন কোটেশনও দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও সংস্থাকে। তারপরেও মাইসুরুতে প্রধানমন্ত্রীর থাকা-খাওয়ার বকেয়া বিল নিয়ে আলোচনা চলতেই থাকে। গতবছরেই ২৯ সেপ্টেম্বর প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট (বন্যপ্রাণ) এনটিসিএ-র কাছে প্রাথমিকভাবে ইস্যুটি উত্থাপন করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এনটিসিএ জানিয়ে দেয়, এই খরচটি বহন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এরপর নতুন প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটর গত মার্চ মাসে এবং হোটেলের ফিনান্স ম্যানেজার মে মাসে বকেয়া টাকার কথা স্মরণ করিয়ে দিলেও ৮০.৬ লক্ষ টাকার বিলের অর্থ এখনও হাতে পায়নি ব়্যাডিসন ব্লু প্লাজা।
হোটেলের তরফে সরকারে জানানো হয়েছে, একবছরের বেশি সময় ধরে টাকা বকেয়া থাকায় বার্ষিক ১৮ শতাংশ সুদ ধরা হবে। অতিরিক্ত ১২.০৯ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও বিলে যোগ করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। আগামী ১ জুনের মধ্যে বকেয়া বিলের টাকা না মেটালে আদালতে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছে। রাজ্য বন দফতর সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বকেয়া টাকা তারা দেবে না। কারণ এটা কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠান ছিল।