জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতলেই ভারতের অংশ হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর। কাশ্মীরে দাঁড়িয়েই ফের ভিত্তিহীন স্বপ্ন দেখালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির শীর্ষ নেতা যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের এখন ভিখারির দশা। অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাই থাকতে চাইছেন না পাকিস্তানের সঙ্গে।
লোকসভা ভোটের প্রচারে বিজেপি নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছিলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি ৪০০ আসনে জিতলেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করে ভারতে যুক্ত করা হবে।’’ এ বার জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের প্রচারে সেই স্পর্শকাতর বিষয়টিকেই হাতিয়ার করলেন যোগী।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রচারেও বারবার PoK ইস্যুতে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে শাসকদল বিজেপিকে। খোদ প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে মুখ না খুললেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুধু করে বিজেপির ছোট বড় নেতারা দাবি করেছেন, তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকার ক্ষমতায় এলে ৬ মাসের মধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ হবে।
উল্লেখ্য, ১০ বছর বাদে নির্বাচন হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে। বিজেপি জম্মুতে শক্তিশালী হলেও কাশ্মীর উপত্যকায় সেভাবে অস্তিত্ব নেই। কাশ্মীরবাসীর মধ্যে আলাদা আবেগ পিওকে নিয়ে। যোগী সেই আবেগকেই কাজে লাগাতে চাইলেন।
ঘটনাচক্রে, গত মে মাসের গোড়া থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্ফরাবাদ-সহ সামাহনি, সেহানসা, মিরপুর, রাওয়ালকোট, হাত্তিয়ান বালা, খুইরাট্টা, তত্তাপানির মতো এলাকায় ইসলামাবাদ বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। চড়া রাজস্ব, মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ সঙ্কটের মুখে অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের অসন্তোষ অনেক দিন ধরেই জমা হচ্ছিল। সূত্রের দাবি, ওই অঞ্চলে উৎপন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে পাকিস্তানের অন্যান্য শহরে। তা নিয়ে ক্ষুব্ধ অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। খোলাখুলি পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা। পাক পুলিশ ও আধাসেনার গুলিতে ইতিমধ্যেই বহু বিক্ষোভকারী হতাহতও হয়েছেন।