লখনউয়ের মতো ঐতিহাসিক শহরের নামও এবার বদলে যেতে পারে। নতুন নাম হতে পারে লক্ষণ নগরী। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেস পাঠকের কথায়। লখনউ নিয়ে এক মন্তব্যের পরেই নাম বদলের জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
নামবদলের প্রস্তাব দিয়ে একটি চিঠি লেখেন প্রতাপগড়ের সাংসদ। লেখা, ‘শ্রীরাম লখনউ লক্ষণকে উপহার দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই এর নাম হয় লক্ষণপুর। কিন্তু আঠারোশা শতকে, তৎকালীন নবাব আসাদ-উদ-দৌলা জায়গাটির নাম বদল করে লখনউ রাখেন। তার পর থেকে ওই নামই চলে আসছে। দেশ যখন অমৃতকাল উদযাপন করছে, তখন দাসত্বের ওই সব চিহ্ন মুছে ফেলা উচিত।’
আরও পড়ুন: SC Judges: কলেজিয়ামের ‘জয়’, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে একসঙ্গে শপথ ৫ জনের
প্রসঙ্গত, গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানাতে গিয়ে ট্যুইটারে যোগী আদিত্য়নাথ লেখেন, ‘লক্ষণের ভূমি, লখনউয়ে আপনাকে স্বাগত!’ শহরের নামবদল নিয়ে অবশ্য এই প্রথমবার সরব নন বিজেপি নেতারার। অনেকেই যেমন হায়দরাবাদের নাম ভাগ্যনগর করার ব্যাপারে সরব হয়েছেন। ২০২২ সালের জুলাইয়ে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে খোদ প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও হায়দরাবাদকে ভাগ্য়নগর সম্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের তরফে আগেই অভিযোগ উঠেছে দেশের ইসলামিক সংস্কৃতি মুছে ফেলতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সরকার। সেই পথে হেঁটে ইতিমধ্যেই বহু রাস্তা, ইমারত, জায়গা এমনকী রেল স্টেশনের নামও বদলেছে মোদী সরকার। এই তালিকায় রয়েছে মোঘলসরাই, যার বর্তমান নাম দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশন। এলাহাবাদের নাম হয়েছে প্রয়াগরাজ। মধ্যপ্রদেশে হোশাঙ্গাবাদ স্টেশনের নাম বদলে করে দেওয়া হয়েছে নর্মদাপুরম। এমনকি রাষ্ট্রপতি ভবনের মোঘল গার্ডেনের নাম বদলে করা হয়েছে অমৃত উদ্যান। এরই মাঝে ঐতিহাসিক শহর লখনউয়ের নাম বদলের ইঙ্গিত জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: Gautam Adani: ভয়ে ১,৬৪৯ কোটির শেয়ার বিক্রি করল নরওয়ের সংস্থা, বাজারে আবার দর কমল আদানির