পাওয়ার গ্রিড বিপত্তির জের। রবিবার দীর্ঘক্ষণ অন্ধকারে ডুবে থাকল মুম্বইয়ের একটা বড় অংশ। ব্যাহত হল লোকাল ট্রেন পরিষেবাও। যার ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হল বাণিজ্যনগরীর বাসিন্দাদের।
বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের কমিশনার ইকবাল সিং চহাল জানান, টাটা বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রিড বসে যাওয়ায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে মুম্বইয়ের একটা বড় অংশ। তবে যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। ইকবাল বলেন, “মুলুন্দ-ট্রম্বের টাটা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এমএসইবি ২২০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন বসে যাওয়ায় মুম্বইয়ের বেশির ভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে বলে জানিয়েছে শহরের প্রধান বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা বেস্ট।”
বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা বেস্ট বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, টাটা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্রিড বসে যাওয়ায় সিওন, মাটুঙ্গা, পারেল, দাদর, সিএসএমটি, বাইকুল্লা, চার্চগেট-সহ বিশাল অংশে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে রেল পরিষেবাতেও এর জেরে প্রভাব পড়ে। পশ্চিম রেল জানিয়েছে, সকাল পৌনে দশটা নাগাদ আচমকাই বিদ্যুৎ চলে যায় অন্ধেরী এবং চার্চগেটের মাঝে। ফলে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। তবে ঘণ্টাখানেক পরই পরিষেবা ফের স্বাভাবিক হয়।
বৃহৎ মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে টুইট করে অসুবিধার জন্য নাগরিকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে টুইট করেছে। টুইটে লিখেছে, ‘কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে শহরের অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাঘাত ঘটেছে। সমস্যা সমাধানের আমাদের একটি দল মাঠে নেমেছে। আশা করছি ঘন্টাখানেকের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এই অসুবিধার জন্য দুঃখিত।’
সেন্ট্রাল মুম্বাইয়ের সিওন, দাদর এবং মাটুঙ্গা এলাকা থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দক্ষিণ মুম্বইয়ের কিছু অংশ থেকেও একই ধরনের খবর পাওয়া গেছে। এর আগে, মুম্বইয়ে ২০২০ সালে অক্টোবর মাসে এমন ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখোমুখি হয়েছিল। সেই সময় ১৮ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল।