দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল কর্নাটক পুলিশ। এবার ৬ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাতি প্রজ্জ্বল রেভান্নাকে। পুলিশ অবশ্য ১৪ দিনের জন্য তাঁকে হেফাজতে চেয়েছিল।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে প্রায় ১টা নাগাদ বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরে নামে জার্মানির মিউনিখ থেকে আসা লুফৎহানসার উড়ান। ওই উড়ানেরই যাত্রী ছিলেন প্রজ্বল। কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে তিন মহিলা পুলিশ সদস্যের এক দল। এর পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রুটিন চেক আপ হয় তাঁর। এর পর আদালতে তোলা হয় একাধিক গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত প্রাক্তন জেডিএস নেতাকে।শতাধিক মহিলাকে ধর্ষণ-যৌন নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। হাজার তিনেক যৌন কেলেঙ্কারির ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়ে হাসনে লোকসভা ভোটের ঠিক আগে। এর পরেই একের পর এক মহিলা প্রজ্বলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। দলীয় কর্মী থেকে, সরকারি কর্মচারী এমনকি বাড়িতে কর্মরত মহিলারাও প্রজ্বলের থেকে নিস্তার পাননি বলে অভিযোগ।
শুক্রবার পুলিশ দুসপ্তাহের জন্য তাঁকে হেফাজতে চাইলে শেষপর্যন্ত আদালত জানিয়ে দেয়, আপাতত ৬ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকবেন রেভান্না।পুলিশ জানিয়েছে, রেভান্নার মোবাইল ফোনটি পরীক্ষা করে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা ফরেনসিক তদন্তে পাঠানো হবে। পরে তাঁকে হাসানের বাড়িতেও নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও তাঁর আইনজীবীদের দাবি ছিল, একদিনের বেশি অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে রাখার দরকার পড়বে না। কিন্তু শেষপর্যন্ত আদালত সেই দাবি মানেনি।
প্রজ্জ্বল আদৌ দেশে ফিরবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল। কেননা এর আগে দুবার টিকিট কেটেও তা বাতিল করে দিয়েছেন তিনি। তাই এবারও তেমন কিছু করবেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার তিনি আগাম জামিনের আবেদন করার পর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় এবার সম্ভবত তিনি ফিরছেনই। যদিও আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার হন রেভান্না।