দাক্ষিণাত্যের রাজনীতিতে তোলপাড় হচ্ছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার যৌন কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত ভিডিয়ো ঘিরে। বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপিওদাক্ষিণাত্যে JD(S)-এর বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA জোট রয়েছে। কাজেই JD(S) নেতার এই মারাত্মক কেলেঙ্কারিতে ‘মুখ পুড়ছে’ বিজেপিরও। নেহাতই বিষয়টি JD(S) অন্দরের বলে সাফাই গাইলেও এমন কেলেঙ্কারি জড়িত পরিবারের সঙ্গে জোটের ফলে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে পদ্ম শিবিরকে।
এই আবহে রাজ্যের সভাপতিকে লেখা কর্নাটকের এক বিজেপি নেতার চিঠিতে উঠে এল আরও ভয়ঙ্কর দাবি। বিষয়টি নিয়ে পরে ‘ঘোঁট’ পাকবে তা আগেই আঁচ করেছিলেন তিনি। আর তারপরে দলকে সতর্ক করেছিলেন চিঠির মাধ্যমে। JD(S)-এর সঙ্গে জোট বাঁধলে ভবিষ্যতে BJP-র ‘মুখ কালো’ হতে পারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
ওই বিজেপি নেতার অভিযোগ, তিনি দলের রাজ্য সভাপতিকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তাঁর কাছে একটি পেন ড্রাইভে প্রায় ৩ হাজার মহিলার ভিডিও আসে। যার মধ্যে সরকারি চাকুরে মহিলাও আছেন। জনতা দল সেকুলারের সাংসদ প্রজ্জ্বল রেভান্না সেই সব ছবি দেখিয়ে মহিলাদের ব্ল্যাকমেল করে যৌন সম্পর্ক তৈরি করতেন।
সেই সময় জেডিএস-এর সঙ্গে বিজেপি জোট বাঁধার বিষয়টি ভবিষ্যতে ‘ব্যাক ফায়ার’ হতে পারে বলে সতর্কবাণী দিয়েছিলেন ওই বিজেপি নেতা। লিখেছিলেন, ‘যদি আমরা জেডি (এস)-এর সঙ্গে ঝোট বাঁধে লোকসভা নির্বাচনে হাসানে জেডি (এস) প্রার্থীকে মনোনীত করি তবে ভবিষ্যতে এই ভিডিয়োগুলিকেই বিজেপিকে পাঁকে ফেলতে এই ভিডিয়োগুলিকে ব্রহ্মাস্ত্র হিসেবে ব্য়বহার করতে পারে বিরোধীরা। আর তাতে আখেরে কলঙ্কিত হবে বিজেপি। সকলেই তখন বলবে ধর্ষকের পরিবারের সঙ্গে জোট বেঁধেছি আমরা। এটি জাতীয়ভাবে আমাদের দলের ভাবমূর্তির জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে।’
অন্যদিকে, একাধিক মহিলা রেভান্না ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তোলায় মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। কর্নাটকের মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন নাগলক্ষ্মী চৌধুরি এই ঘটনাকে রাজ্যের বৃহত্তম যৌন কেলেঙ্কারি বলে বর্ণানা করেছেন।