সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণের ফলে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক পদ শূন্য। আপাতত কাজ চালানোর ভার পেলেন দলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট। এ কে গোপালন ভবন সূত্রে খবর, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে কারাটকে সর্বসম্মতিক্রমে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটবুরোর কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কারাটই এ কে গোপালন ভবন থেকে পলিটবুরোর বাকি সকলের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজটি করবেন। অর্থাৎ বকলমে সিপিএমের নিয়ন্ত্রণ ফের চলে গেল কারাট লবির হাতেই।
এই প্রথম, সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকা অবস্থায় প্রয়াত হয়েছেন কেউ। ফলত অন্তর্বর্তী সাধারণ সম্পাদক, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কীভাবে এসব নিয়ে সিপিএমকে ভাবতে হয়নি আগে। ইয়েচুরির অবর্তমানে তাঁর দায়িত্ব, জায়গা কে সামলাবেন? ঠিক ছিল, কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পর জানানো হবে সিদ্ধান্ত। তার আগেই শুক্র এবং শনিবার সম্পন্ন হয়েছিল সিপিএম এর পলিটব্যুরোর বৈঠক।
রবিবার সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পর জানিয়ে দিল, সীতারামের আসন ফাঁকাই থাকছে এই মুহূর্তে। এখনই কাউকে সাধারণ সম্পাদকের জায়গায় বসানো হল না। আপাতত যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবে পলিটব্যুরো। দলের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর কো অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রকাশ কারাটকে। তিনি এখন সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন। ২০২৫ এর এপ্রিলে মাদুরাইয়ে বসবে দলের ২৪ তম পার্টি কংগ্রেস। সেখানেই নতুন কেউ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সিপিএমের অন্দরে জল্পনা ছিল, ইয়েচুরির শূন্যস্থানে পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন বৃন্দা কারাট। তবে আরও একজনের নামও পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে রয়েছে। তিনি হলেন কেরলের প্রাক্তন মন্ত্রী ও রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য এম এ বেবি। তবে বেবির ক্ষেত্রে বাধা তার পরিচিতি। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তার পরিচিতি না থাকায় এগিয়ে রাখা হচ্ছে বৃন্দা কারাটকেই। শেষদিকে লড়াইয়ে ঢুকে গিয়েছিলেন মানিক সরকারও। সেসব জল্পনার মধ্যেই কারাট দায়িত্ব পেলেন।