নাবালক দাদার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে মাত্র ১২ বছর বয়সেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল এক কিশোরী৷ যদিও কেরল হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়ে জানাল, ওই কিশোরীর গর্ভপাত করানো যাবে না৷ কারণ ইতিমধ্যেই ওই কিশোরীর গর্ভস্থ ভ্রূণের বয়স ৩৪ সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে৷
নিয়ম অনুযায়ী, গর্ভাবস্থায় ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাত করানো যায়। কিন্তু তারপর গর্ভপাত করাতে হলে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন হয়। সেই মতো হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কিশোরীর বাবা-মা। আবেদন জানিয়েছিলেন, যাতে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দিল না আদালত। মেডিকেল বোর্ডের আশঙ্কা, গর্ভপাত করানো হলে নাবালিকার প্রাণহানি হতে পারে। সেই কারণে, গর্ভপাতের আবেদনে ফিরিয়ে দেয় কেরল হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ।
লাইভল’-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আদালতে সেই নাবালিকার অভিভাবকরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁরা জানতে পেরেছেন যে তাঁদের মেয়ে গর্ভবতী। এই ঘটনাটি নাবালিকার শারীরবৃত্তীয় এবং মনস্তাত্ত্বিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘ভ্রূণ ইতিমধ্যেই গর্ভাবস্থার ৩৪ সপ্তাহে পৌঁছেছে এবং এখন সম্পূর্ণরূপে বিকশিত হয়েছে। গর্ভের বাইরের জীবনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সে। এই মুহূর্তে গর্ভাবস্থার অবসান সম্ভব নয়। তাই এই সন্তানের জন্মের অনুমতি দিতে হবে।’ এই আবহে বিচারপতি দেবান রামচন্দ্রন নির্দেশ দেন, গর্ভবতী নাবালিকা এখন তার মা-বাবার কাছেই থাকবে।
এদিকে যে ভাইয়ের বিরুদ্ধে সেই মেয়েকে গর্ভবতী করার অভিযোগ উঠেছে, তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের কোনও নির্দেশ দেননি বিচারপতি। তবে পুলিশ এবং আবেদনকারী মা-বাবাকে এটা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যাতে সেই মেয়ের ধারের কাছে সেই ভাই যেতে না পারে। এদিকে সেই ভাই যদি গর্ভবতী মেয়ের কাছে যায়, তা আদালত অবমাননা হিসেবে বিবেচিত হবে বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত।