মহাসমারোহে মনোনয়ন জমা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ নাগাদ বারাণসীর জেলাশাসকের দপ্তরে পৌঁছে যান তিনি। মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে গঙ্গাস্নান সারেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর বারাণসীর দশাশ্বমেধ ঘাটে পুজো দেন তিনি। পুজো দেন বারাণসীর কাল ভৈরব মন্দিরেও। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে ছিলেন পণ্ডিত গণেশ্বর শাস্ত্রী, যিনি অযোধ্যার রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করার দিনক্ষণ ঠিক করেছিলেন। পণ্ডিত গণেশ্বর মোদীর মনোনয়নের চার প্রস্তাবকের মধ্যে অন্যতম। বাকি তিন জন প্রস্তাবক ছিলেন বৈজনাথ পটেল (ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত এক জন আরএসএস স্বেচ্ছাসেবক), লালচাঁদ কুশওয়াহা (ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত বিজেপি নেতা) এবং সঞ্জয় সোনকার (দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত নেতা)। প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ-সহ দলের বহু শীর্ষ নেতাও উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও হাজির ছিলেন মনোনয়ন পেশের সময়ে। বিহারের নীতীশ কুমার ছাড়াও প্রত্যেকটি বিজেপিশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা হাজির ছিলেন। সবমিলিয়ে ২৫ জন হেভিওয়েট নেতাকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে মনোনয়ন দেওয়ার সময়ে জেলাশাসকের কক্ষে হাজির ছিলেন কেবল যোগী। বারাণসী মায়ের মতো…মা গঙ্গা আমাকে দত্তক নিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন মোদী। ভীষ্মের শরশয্যার কথাও কারও অজানা নয়। এবার কি তবে মোদী নিজেও তেমনই আশংকা করছেন।সে কারণেই কি গঙ্গা মেয়ের ‘গোদ’ নেওয়ার কোটা বললেন। একথা সকলেই জানে যে তিনি এই সময়কালের মধ্যেই ৭৫ বছর পার করে যাবেন। সেই নিয়ম অনুযায়ী তার মার্গ দর্শক হয়ে যাওয়ার কথা। তেমনই আশংকা করেই কি তিনি মেন্ কথা বললেন। গুঞ্জন রাজনৈতিক -অরাজনৈতিক সব মহলেই ।