পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Jagannath Temple) মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক কড়াকড়ি। মন্দিরের মধ্যে দর্শনার্থীদের ফোন ব্যবহারে আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এমনকি, পুলিশকর্মীরাও মন্দিরের মধ্যে ফোন ব্যবহার করতে পারতেন। এ বার মন্দিরের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন না সেবায়েত ও মন্দিরের কর্মীরাও।
জগন্নাথ মন্দিরের মধ্যে ছবি ও ভিডিও তোলা নিষিদ্ধ। কিন্তু নিয়মের তোয়াক্কা না করেই নানা সময় মন্দিরের গর্ভগৃহের ছবি ও ভিডিও তুলতে দেখা গিয়েছে দর্শনার্থীদের। বহু বার এমন অভিযোগ করেছেন মন্দিরের সেবায়েতরা। তবু ছবি তোলা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি মন্দিরের গর্ভগৃহের ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন বাংলাদেশের এক ইউটিউবার। সেই ছবি ভাইরাল হতেই বিতর্ক শুরু হয়। গোটা বিষয়টি নজরে আসতেই তৎপর হয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। ওই ইউটিউবারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই প্রসঙ্গে ‘শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ বা এসজেটিএ-র চেয়ারম্যান ভিএস চন্দ্রশেখর রাও বলেছিলেন, ‘সিংহদ্বার থানায় ওই ইউটিউবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নিরাপত্তার কোনও গাফিলতি হয়নি। তবে আমরা নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করব’।
আরও পড়ুন: Delhi: ফের লিভ ইন পার্টনারের হাতে খুন প্রেমিকা, ছুরির কোপে ক্ষতবিক্ষত মুখ- কাটা আঙুল
আগামী ১ জানুয়ারি থেকে মন্দিরের মধ্যে ফোন ব্যবহার নিয়ে এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হবে। সম্প্রতি মন্দিরের ‘ছত্তিশা নিয়োগ’-এর এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্দির সংক্রান্ত নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে ‘ছত্তিশা নিয়োগ’ নামে একটি বিশেষ কমিটি।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মন্দিরের মধ্যে এক মাত্র কমান্ডার স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন। মন্দিরের নিয়ম-রীতি কখন পালন করা হচ্ছে, তা জানানোর জন্য তাঁর কাছে ফোন রাখা থাকবে। এই প্রসঙ্গে ‘শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ বা এসজেটিএ-র চেয়ারম্যান বিক্রম যাদব বলেছেন, ‘‘১ জানুয়ারি থেকে কেউই মন্দিরের মধ্যে ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি, সেবায়েত ও এসজেটিএ কর্মীরাও পারবেন না ফোন ব্যবহার করতে।’’
আরও পড়ুন: Himachal Pradesh: শুরুতেই এগিয়ে ৩৬টি আসনে, বিধায়কদের লুকিয়ে রাখতে রিসর্ট খুঁজছে কংগ্রেস