হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বা চিকিৎসাকর্মীদের উপর হামলা হলে ছ’ঘণ্টার মধ্যেই এফআইআর দায়ের করতে হবে। সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে। শুক্রবার এক নির্দেশিকায় এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেল্থ সার্ভিসেস’ (ডিজিএইচএস)! ঘটনাচক্রে, আরজি কর-কাণ্ডের পরেই পাঠানো হয়েছে ওই নির্দেশিকা।
ডিজিএইচএস-এর ডিরেক্টর অতুল গোয়েল অবশ্য নির্দেশিকায় সরাসরি আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা কিংবা ‘রাত দখল’ কর্মসূচির সময় ভাঙচুরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি। তবে তিনি লিখেছেন, ‘‘সাম্প্রতিক সময়ে হাসপাতালে চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে গিয়েছে। অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন, হুমকির মুখে পড়েছেন।’’
ওই নির্দেশিকায় সাম্প্রতিক অতীতে হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে বলেই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। হাসপাতালে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসক, চিকিৎসা কর্মীরা হুমকির মুখে পড়েছেন বলেও উল্লেখ নির্দেশিকায়। বহু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে মূলত চিকিৎসক কিংবা চিকিৎসা কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগের আঙুল উঠেছে রোগীর পরিবারের লোকজনের দিকে। হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমের ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে। তা রুখতে অতীতে একাধিকবার কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে প্রশাসনকে।
ঘটনাচক্রে, আরজি কর-কাণ্ডের নেপথ্যে রোগী অসন্তোষের কোনও সম্পর্ক নেই। গত ৮ অগস্ট রাতে আরজি করের সেমিনার হলে ধর্ষণ ও খুন করা হয় এক মহিলা চিকিৎসককে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির মধ্যেই বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। তছনছ করা হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ (হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), ওষুধের স্টোররুমও। আক্রান্ত হন হাসপাতালের কয়েক জন চিকিৎসাকর্মী এবং জুনিয়র চিকিৎসকও। কিন্তু কর্তৃপক্ষের তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়নি। ঘটনাচক্রে, তার পরেই এই বার্তা এল কেন্দ্রের তরফে।