আবারো ‘কুকথায় পঞ্চমুখ’ হলেন বিজেপি সাংসদ-অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। লাগাতার খুন, মহিলাদের ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে আন্দোলন চলাকালীন। নরেন্দ্র মোদীর সরকার কৃষক আন্দোলন নিয়ে কঠোর না হলে ভারতের অবস্থাও বাংলাদেশের মতো হতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন হিমাচল প্রদেশের মান্ডির সাংসদ। এরপরেই পালটা বিজেপিকে তোপ দাগলেন রাহুল গান্ধী। কড়া সুরে তিনি বলেন, ‘মাণ্ডির সাংসদ কৃষকদের ধর্ষক বলে আক্রমণ করেছেন। তাঁর এই মন্তব্যে আবারও স্পষ্ট হয়ে যায় বিজেপির কৃষক বিরোধী মানসিকতা।’
রবিবার সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী সাংসদ বলেছিলেন, ‘সরকার আইন প্রত্যাহাকর করে নেওয়ার পর কৃষকরা ভাবতেই পারেনি এত সহজে বিষয়টি মিটে যাবে। ওই উগ্রপন্থীরা বড়সড় ষড়যন্ত্র করেছিল। যেমনটা বাংলাদেশে হয়েছে। আইন প্রত্যাহারের পরও ওরা অবস্থানে অনড় ছিল।’ এক্স হ্যান্ডলে কঙ্গনা বলেন, ‘বাংলাদেশে যা ঘটেছে তা এখানেই সহজেই ঘটতে পারত। এখানে বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্র আছে। সিনেমার জগতের কেউ কেউ সাত পাঁচ না ভেবেই বিষয়গুলিকে উস্কানি দেয়। দেশ রসাতলে গেলেও তাদের কিছু যায় আসে না।’ তাঁর অভিযোগ বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। লাগাতার খুন, মহিলাদের ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে আন্দোলন চলাকালীন। এমনকী কৃষকদের নামে বিদেশি শক্তি ভারতে কাজ করছিল বলেও অভিযোগ করেন কঙ্গনা।
তাঁর সেই মন্তব্যের পালটা সোশাল মিডিয়ায় সরব হন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘কৃষকদের যে প্রতিশ্রুতি মোদি সরকার দিয়েছিল তা পূরণ না করে কৃষকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’ রাহুলের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘৩৭৮ দিন ধরে ম্যারাথন লড়াই চালিয়ে ৭০০ জন কৃষক আত্মবলিদান দিয়েছেন। আজ সেই কৃষকদের ধর্ষক, বিদেশি শক্তির চক্রান্তের অংশীদার বলা বিজেপির কৃষকবিরোধী নীতি ও তাঁদের ঘৃণ্য মানসিকতার প্রমাণ। এমন লজ্জাজনক কৃষক বিরোধী বার্তা পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব-সহ পুরো দেশের কৃষকদের ঘর অপমান। এই ধরনের মন্তব্য কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না।’
বিপাকে পরে পাঞ্জাবের সিনিয়র বিজেপি নেতা হারজিৎ গারেওয়াল কঙ্গনাকে এ ধরণের উস্কানিমূলক মন্তব্য় না করার পরামর্শই দেন। তিনি বলেন, কৃষকদের বিষয়ে কথা বলা কঙ্গনার বিষয় নয়, কঙ্গনার বক্তব্য ব্যক্তিগত। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও বিজেপি কৃষক বান্ধব। বিরোধী দলগুলো আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে আর কঙ্গনার বক্তব্যও তাই প্রমাণ করছে। যদিও সংবেদনশীল বা ধর্মীয় বিষয়ে, ধর্মীয় সংগঠনের বিষয়ে তার এই ধরনের বিবৃতি দেওয়া উচিত নয়।